পুলিশি নির্যাতনে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ
নওগাঁর আত্রাই উপজেলার দক্ষিণ পারকাসন্দা গ্রামে রাতের অন্ধকারে পুলিশি নির্যাতনে জালাল উদ্দিন (৩৬) নামে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রবিবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশের দাবি, রাতে আসামির খোঁজে ওই বাড়িতে গিয়েছিল পুলিশ। তবে নির্যাতনে নয়, হার্ডএ্যাটাকে মারা গেছে ওই ব্যক্তি।
নিহত জালালের মামি জোসনা বানু জানান, গভীর রাতে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য এসে ঘরের দরজায় আওয়াজ দিয়ে ডাকাডাকি করেন। স্বামী অসুস্থ, তাই তিনি নিজেই দরজা খুলে দেন। এরপর পুলিশ সদস্যরা আসামি সন্দেহে তার স্বামীর খোঁজ করেন। তিনি তাদের জানান, তার স্বামী অসুস্থ। এরপর স্বামীর পাশে শুয়ে থাকা ভাগনা জালাল উদ্দিনকে দেখতে পেয়ে জানতে চায় ওই ব্যক্তিকে। জোসনা জানান, সম্পর্কে ভাগনা হয়, তার অসুস্থ স্বামীকে দেখতে এসেছে। এরপর জোসনাকে জাতীয় পরিচয়পত্র আনতে বললে জোসনা পাশের ঘরে জাতীয় পরিচয়পত্র আনতে যান। এই ফাঁকে জালালকে মারার শব্দ পান তিনি। ঘর থেকে বাইরে এসে দেখেন জালাল মাটিতে পড়ে আছে। আর তার স্বামী আশকান মোল্লা (৬২) উচ্চৈস্বরে কান্নাকাটি করছেন। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে ততক্ষণে ভয়ে পুলিশ সদস্যরা পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে ওই গ্রামের গ্রাম্য চিকিৎসক আমিনুল ইসলাম জানান, ওই পরিবারটির বিরুদ্ধে কোন দিন কোন অভিযোগ ছিল না। মাদক বা অন্য কোন অপকর্মের সাথেও জড়িত নয় তারা। কিন্তু কেন পুলিশ এসে এ ধরনের মারপিট করল, তা তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না।
তিনি বলেন, রাতে মৃত জালালের বুকে বড় আঘাতের চিহ্ন দেখেছেন।
পাঁচুপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আফসার আলী বলেন, শুধু এই ঘটনায় নয়; মাঝেমধ্যেই নিজেরাই মাদকদ্রব্য নিয়ে এসে সেগুলো সাধারণ মানুষকে দিয়ে জিম্মি করে চাঁদা দাবি করে পুলিশ। পরে টাকা পেলে ছেড়ে দেয়, আর না পেলে এভাবে নির্যাতন চালানো হয়। আবার কখনও কখনও মামলাও দেয়া হয়।
অভিযোগ অস্বীকার করে আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বদরুদ্দোজা জানান, চাঁদাবাজি নয়; আসামি ধরতেই পুলিশ সেখানে গিয়েছিল। আর মারপিটের কারণে নয়; হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই জালালের মৃত্যু হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে এখনও কোন মামলা হয়নি বলে জানান তিনি।
(ঢাকাটাইমস/১০এপ্রিল/প্রতিনিধি/এলএ)
মন্তব্য করুন