বিবাহবিচ্ছেদের ‘খুশিতে’ মিষ্টি বিতরণ
যেকোন সুখবরে প্রতিবেশী কিংবা আত্মীয়স্বজনের বাসায় মিষ্টি বিতরণের প্রচলন উপমহাদেশে বেশ প্রচলিত প্রথা। পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট, চাকরি পাওয়া, বিয়ে, জন্ম এমনকী বিবাহ বাষির্কী উদযাপনেও মিষ্টি বিতরণের খবর নতুন কিছু নয়। কিন্তু বিবাহবিচ্ছেদের খুশিতে কেউ মিষ্টি খাওয়ানোর ঘটনা সম্ভবত এটিই প্রথম। অবাক করার মতো এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের গুজরাটে। রাজকোট জেলার বাঙ্কানের যুবক রিঙ্কেশ রচ্ছ বিবাহবিচ্ছেদের ‘খুশিতে’ মিষ্টি বিতরণ করেছেন প্রতিবেশীদের।
জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে স্থানীয় এক যুবতীর সঙ্গে সম্বন্ধ করে বিয়ে হয় রিঙ্কেশের। বেশ ধুমধাম করেই হয়েছিল বিয়ের অনুষ্ঠান। কিন্তু, মাসখানেক যেতেই ছোটখাটো নানা বিষয়ে নিজেদের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়।
রিঙ্কেশ জানান, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম দুইজন অচেনা মানুষ একসঙ্গে থাকতে গেলে একটুআধটু মতের অমিল হতেই পারে। সম্পর্ককে একটু সময় দিলে ধীরে ধীরে সব ঠিক হয়ে যাবে।বাস্তবের ছবিটা কিন্তু একেবারেই উল্টো হয়ে গেল। যত দিন গড়াল, সম্পর্কের ততই অবনতি হল।’
রিঙ্কেশ আরও বলেন, একটা সময় পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হল যে আমার স্ত্রী আমার সঙ্গে আলাদা থাকার দাবি তুললেন। আমি তাও মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু, নিজের পরিবার ছেড়ে তার সঙ্গে আলাদা থেকেও কোনও লাভ হয়নি। পরিস্থিতি একেবারে নাগালের বাইরে চলে যায় যখন ‘হেল্পলাইনে’ ফোন করে বাড়িতে পুলিশ ডেকে আনলেন আমার সাবেক স্ত্রী।
‘বাধ্য হয়েই বিবাহ বিচ্ছেদের পথ বেছে নিয়েছি’- বলেন রিঙ্কেশ। কিন্তু দাম্পত্যের মতো রিঙ্কেশের বিবাহবিচ্ছেদের ব্যপারটাও সহজ ভাবে হয়নি।
আদালতে মোটা অংকের খোরপোশ দাবি করেছিলেন রিঙ্কেশের স্ত্রী। বিপুল অংকের অর্থ দিতে অপারগ রিঙ্কেশ দ্বারস্থ হন আদালতের। এর পর দীর্ঘ টালবাহানার পর স্ত্রীর সঙ্গে আপোসের করে সম্পর্ক ছেদ করেন রিঙ্কেশ।
বিবাহবিচ্ছেদের পর বাড়িতে ফিরে প্রতিবেশীদের মিষ্টিমুখ করান রিঙ্কেশ। এই মিষ্টিমুখ কি সম্পর্ক থেকে মুক্তির আনন্দের? আক্ষেপের সুরে রিঙ্কেশ বলেন, ‘না, বিবাহবিচ্ছেদের আনন্দে মিষ্টি বিতরণ করিনি। অনেকেই আইনের অপব্যবহার করেন। আমি আমার প্রতিবেশীদের শুধু সে বিষয়ে সতর্ক করতে চেয়েছি।’
আর বিয়ে করবেন কিনা জানতে চাইলে রিঙ্কেশের জবাব, সব মেয়েরাই তো আর এক রকম নয়। ভবিষ্যতে কখনও যদি মনের মতো কাউকে পাই, তো বিয়ে করব।
(ঢাকাটাইমস/২৩এপ্রিল/জেএস)