বেলারুশ থেকে ভারী যানবাহন আমদানি করবে সরকার
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসগুলোর সেবার মান উন্নয়ন ও গতি বাড়াতে বিদেশ থেকে ভারী যানবাহন ও যন্ত্রপাতি আমদানি করা হবে। ২০১৩ সালে ‘কমোডিটি ক্রেডিট ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট’র আওতায় এসব জিনিস আমদানি করা হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে নরসিংদীর পলাশের কো-অপারেটিভ জুটমিলে বেলারুশের আমকদর পলাশ ইন্ড্রাস্টিয়াল জোন লিমিটেডের ট্রেড অ্যান্ড সার্ভিস সেন্টার উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বেলারুশ প্রজাতন্ত্র বাংলাদেশের এক অকৃত্রিম বন্ধু। মুক্তিযুদ্ধের সময় তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত বেলারুশ আমাদেরকে সহযোগিতা করেছে। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়েও বাংলাদেশের স্বীকৃতি অর্জনে বেলারুশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। শুধু তাই নয়, ১৯৭১ সাল থেকে আজ পর্যন্ত বেলারুশ বাংলাদেশের একটি উন্নয়ন সহযোগী দেশ হিসেবে প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখে আসছে। সেই সূত্রেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউরোপের শিল্পোন্নত দেশ হিসেবে বেলারুশকে উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমাদের শিল্পক্ষেত্রে সক্ষমতা বাড়াতে বেলারুশ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। বেলারুশের ভারী যন্ত্রপাতি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান আমকদর তাদের পৌর যন্ত্রপাতি সংযোজন ও তাদের বিক্রয়ত্তোর সেবার লক্ষ্যে পলাশে এই ট্রেড অ্যান্ড সার্ভিস সেন্টার স্থাপন করেছে। এই সার্ভিস সেন্টার আগামী ১১ বছর আমদানি করা যন্ত্রপাতিগুলোর মেরামত তথা রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত সেবা দেবে।
বেলারুশের শিল্পমন্ত্রী ভিটালে ভোব-কে ভবিষ্যতে আরও নতুন নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নের নিমিত্তে দুদেশের সহযোগিতায় নতুন দিগন্ত উন্মোচনের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তার অনুরোধ জানান এলজিআরডি মন্ত্রী।
বেলারুশের শিল্পমন্ত্রী ভিটালে ভোব বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিচয়ে বেলারুশ ও বাংলাদেশের মধ্যে অকৃত্রিম বন্ধুত্ব।বেলারুশের জনগণ বাংলাদেশের জনগণেরও অকৃত্রিম বন্ধু। দুদেশের জনগণের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে দুদেশ কাজ করছে।
তিনি বলেন, ২০১৩ সালে বেলারুশ সরকারের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেলারুশ সফরে যাওয়ার পর কমোডিটি ক্রেডিট ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট সই হয়। এতে দুদেশের বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হয়েছে।
আমকদর বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অনিরুদ্ধ কুমার রায়ের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন- স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আব্দুল মালেক, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শ্যামা প্রসাদ অধিকারী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস, নরসিংদী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছিদ্দিকুর রহমান, পুলিশ সুপার আমেনা বেগম, পলাশ উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ জাবেদ হোসেন, পৌর মেয়র শরিফুল ইসলাম, নরসিংদী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী ফজলে হাবিব, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর নরসিংদীর নির্বাহী প্রকৌশলী বশির আহম্মেদ।
(ঢাকাটাইমস/২৭এপ্রিল/প্রতিনিধি/এলএ)
মন্তব্য করুন