ভুলে ‘বেঁচে গেলেন’ কচুয়া আ.লীগ সভাপতি
ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী পাটওয়ারীকে হত্যার। প্রথম নির্দেশনাটি সঠিক ব্যক্তির কাছে গেলেও দ্বিতীয়টি চলে যায় অন্য মোবাইল ফোনে। এই ভুলে বেঁচে যান আইয়ুব আলী পাটোয়ারি। ফাঁস হয়ে যায় তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র।
এ-সংক্রান্ত খুদে বার্তা উদঘাটনের পর তিনি নিরাপত্তা চেয়ে কচুয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২১ মে উপজেলার পালাখাল গ্রামের আলী আহমদের ছেলে ও পূর্বসহদেবপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইমাম হোসেন সোহাগের ছোট ভাই আরিফ হোসেন হিমেল তার ব্যবহৃত ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে খুদে বার্তা পাঠান একই গ্রামের ওমেদ আলীর ছেলে ইমন হোসেনকে। তাতে আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আইয়ুব আলী পাটওয়ারীকে হত্যার নির্দেশনা দেয়া হয়।
প্রথম খুদে বার্তায় বলা হয়, “শুক্রবারের পূর্বে যেন আইয়ুব আলী পাটওয়ারীর লাশ পড়ে। কালকে যে মেশিন পাঠিয়েছি তা তোর কাছে রাখবি। কাল রাতে যে দুজন যাবে তাদেরকে সব বুঝিয়ে দিবি।”
দ্বিতীয় ম্যাসেজে আরিফ হোসেন হিমেল লেখেন, “আর আমাদের নিয়ে যে নাক গলাবে তাদেরকে কুত্তার মতো পিটাবি। যদি মহিউদ্দিন খানও হয় (সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি) তাকেও পিটাবি। কোন কারণে আমিও যদি সামনে পড়ি আমারেও মারবি। যা বলছি তা করবি।” কিন্তু এই ম্যাসেজটি ভুলে ওই গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে মাহবুবের মোবাইল ফোনে চলে যায়। পরে তার মাধ্যমে ফাঁস হয় হত্যার ষড়যন্ত্রের বিষয়টি।
এ বিষয়টি অবগত হয়ে ম্যাসেজটি সংরক্ষণ করে নিরাপত্তা চেয়ে আইয়ুব আলী পাটওয়ারী থানায় জিডি করেন। কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মাহ্বুব রহমান জিডির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগ সভাপতির সাধারণ ডায়েরিটি (জিডি) আমলে নিয়ে ইমন হোসেনকে আটক করেছি। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাকে অভিভাবকের জিম্মায় দেয়া হয়েছে।’ পুরো বিষয়টির তদন্ত চলছে বলে জানান ওসি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরী সোহাগ জানান, ‘আইয়ুব আলী পাটওয়ারীকে হত্যার ষড়যন্ত্রের বিষয়টি আমি শুনেছি। কচুয়ার অভিভাবক জননেতা ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে অবগত করেছি। তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কচুয়া থানার ওসিকে অনুরোধ জানাই।’
উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি পৌর মেয়র নাজমুল আলম স্বপন বলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি আইয়ুব আলী পাটওয়ারীকে যারা হত্যার ষড়যন্ত্র করেছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি করছি।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ম্যাসেজ প্রেরণকারী আরিফ হোসেন ইমন মুঠোফোনে নিজেকে উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি দাবি করে এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘আমি এ জাতীয় কোনো এসএমএস করিনি। আমার ফেসবুক আইডিটি কেউ হ্যাক করে এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে কি না আমার জানা নেই।’ (ঢাকাটাইমস/২৩মে/মোআ)
মন্তব্য করুন