সুপ্রিম জুডিশিয়াল না থাকলে অরাজকতা হবে: রোকন
বিচারপতিদের অপসারণে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল না থাকলে অরাজকতা হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে নেয়া ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের শুনানিতে বৃহস্পতিবার অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে এ মত দেন তিনি।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ শুনানি চলছে। বৃহস্পতিবার সপ্তম দিনের শুনানি হয়েছে। আগামী রবিবার আবার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
রোকন উদ্দিন বলেন, ‘তোরে জজ বানাইছে ক্যাডা’পত্রিকায় এ রকম দেখেছি। যারা সংসদে দাঁড়িয়ে এ রকম কথা বলে তাদের হাতে এটা (বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা) ছেড়ে দেবেন? তখন জুডিশিয়ারির স্বাধীনতা থাকবে?’
সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল না থাকলে বিচার বিভাগে অরাজকতা হবে উল্লেখ করে রোকন উদ্দিন বলেন, ‘আর এটা (ষোড়শ সংশোধনী) যদি হয়ে যায় তাহলে হাইকোর্টের জজদের তো আপনি (প্রধান বিচারপতি) কিছু বলতে পারবেন না। ওনারা যদি ১১টায় আসে তখনো কিছুই বলতে পারবেন না। অথবা খাস কামরায় কোনো ব্যক্তির সঙ্গে যখন কথা বলবে, তখন সংসদ কি দেখবে? এটা সংসদ জানবেও না।’
সংসদে বিচারপতিদের নিয়ে আলোচনার বিষয়ে এই জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বলেন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়ে সংসদে আলোচনার সুযোগ নেই। সেই নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সদস্যরা আলোচনা করেছেন। কিন্তু স্পিকার টু শব্দ করেননি।
বিচারপতিদের মর্যাদা ও স্বাধীনতার কথাও স্মরণ করিয়ে দেন রোকন উদ্দিন মাহমুদ। ‘শিক্ষা-দীক্ষায় সম্মানে আপনারা ক্লাসে। আপনাদের সম্মান থাকবে না? বিচার বিভাগের স্বাধীনতা থাকবে না? তারা (সাংসদরা) আপনাদের নিয়ে এ রকম মন্তব্য করে।’
প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের অপসারণ নিজ নিজ বিভাগের মাধ্যমে হলে বিচাপতিদের বেলায় কেন তা সংসদে যাবে সেই প্রশ্ন তোলেন এই এমিকাসকিউরি। তিনি বলেন, ‘সিভিল সার্ভিসের ব্যক্তিদের কারা অপসারণ করে? পুলিশের কারা করে? সেক্রেটারিদের কারা করে? আপনি? সংসদ? কেউ না। তাদের উপরস্থরা অপসারণ করে। অর্থাৎ সহকারী সচিবদের তদন্ত করে যুগ্ম সচিবরা। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। মিলিটারিরটা তাদের ডিসিপ্লিনারিতে আছে। তাহলে আপনাদেরটা কেন পার্লামেন্টে যাবে। সচিব, পুলিশ এটা তো সংসদে যাচ্ছে না। তাহলে এটা কেন?
(ঢাকাটাইমস/২৫মে/এমএবি/মোআ)