চার দিনেও খোঁজ মিলেনি মুফতি মুস্তাকুন্নবীসহ তিনজনের
চার দিনেও খোঁজ মিলেনি কুমিল্লার শীর্ষ আলেম ও বিশিষ্ট ওয়ায়েজ মুফতি মুস্তাকুন্নবী ও তার গাড়ির চালকসহ তিনজনের। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের খোঁজে বের করার চেষ্টা অব্যাহত রাখলেও এখনো কোনো কূল-কিনারা করতে পারেনি।
থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা সংস্থা বিভিন্ন স্থানে ইতোমধ্যে অভিযান চালিয়েছে। তবে তারা মুফতি মুস্তাকুন্নবীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে ট্র্যাকিং করে অবস্থান জানতে পারেনি।
এদিকে তিনজনের সন্ধান দাবিতে শুক্রবার বিকালে নগরীর লাকসাম রোডস্থ জামিয়া আরাবিয়া কাসেমুল উলুম মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে কুমিল্লা জেলা কওমি মাদ্রাসা সংগঠনের উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন। মুফতি মুস্তাকুন্নবীসহ তিনজনের সন্ধান না পেলে তারা আন্দোলনের হুমকি দেন।
পুলিশ ও নিখোঁজদের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কোটবাড়ি এলাকার সুধন্যপুর মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তুমচর গ্রামের বাসিন্দা মুফতি মাওলানা মুস্তাকুন্নবী গত বুধবার রাতে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থেকে ওয়াজ মাহফিল শেষে তার সহযোগী ছাত্র খায়রুল ইসলামসহ একটি প্রাইভেটকারে (ঢাকা মেট্রো-গ-১১-২০৭১) করে কুমিল্লার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন।
রাত সাড়ে ১২টার দিকে তারা কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার পদুয়ারবাজার এলাকায় পৌঁছেন এবং ওই সময় পর্যন্ত তাদের সঙ্গে পরিবারের লোকজনের মোবাইল ফোনে কথা হয়। এরপর থেকে তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় পরিবারের লোকজন কোনো যোগাযোগ করতে পারেননি। এতে বৃহস্পতিবার বিকালে এ বিষয়ে মুফতি মাওলানা মুস্তাকুন্নবীর ঘনিষ্ঠজন হাজী শফিকুল ইসলাম সদর দক্ষিণ মডেল থানায় জিডি করেন।
এরপর থেকে তাদের সন্ধানে অভিযানে মাঠে নামে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক টিম। কিন্তু শুক্রবার বিকালে পর্যন্ত তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
হাজী শফিকুল ইসলাম জানান, এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নিখোঁজ মুফতি মুস্তাকুন্নবীর মোবাইল ফোন থেকে তার ছোট ভাই মাওলানা মারুফ বিল্লাহর কাছে তাদের মুক্তিপণ বাবদ ১০ লাখ টাকা দাবি করা হয়েছে।
সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি নজরুল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে জানান, নিখোঁজদের খুঁজে বের করার জন্য আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত আছে।
(ঢাকাটাইমস/২৭মে/প্রতিনিধি/জেবি)
মন্তব্য করুন