হাজার টাকার কেনাকাটায় ‘পুরস্কার’ ১৮ লাখ
ইয়াসিন আরাফাত বসুন্ধরা সিটিতে এসেছেন ঘুরতে। ঘুরতে এলেও তার উদ্দেশ্য ঈদের পাঞ্জাবির কালেকশান কেমন সেটা দেখা। লেভেল-১ এর ইয়োলো ব্র্যান্ড থেকে শুরু করে লেভেল-৭ এর দেশি দশ ব্র্যান্ডের সবগুলো পাঞ্জাবির দোকান ঘুরে ঘুরে দেখেছেন দীর্ঘ সময় নিয়ে।
দেশী দশের ১০টি ব্রান্ডের মধ্যে সাদাকালো ব্র্যান্ডের একটি পাঞ্জাবি পছন্দ হয়ে যায় তার। পকেটে ছিল মাত্র দেড় হাজার টাকা। ভ্যাট দিয়ে পাঞ্জাবির দাম আসে এক হাজার ২০০ টাকা। কী করবেন বুঝতে পারছেন না। একদিকে পকেটে টাকার পরিমাণ কম ও অন্যদিকে কেনার প্রস্তুতি।
তবে পছন্দের পাঞ্জাবি বলে কথা। যদি এখন না কেনেন অন্য কেউ হয়তো নিয়ে নেবে। শেষ পর্যন্ত কিনে ফেললেন পছন্দের পাঞ্জাবিটি। বিক্রেতা তাকে একটি স্ক্র্যাচ কার্ড দিলে তিনি প্রথমে সেটা নিতে রাজি হননি। অথচ স্ক্র্যাচ কার্ড ঘষে দেখেন উপহার হিসেবে তিনি পেয়েছেন একটি পানির মগ।
ইয়াসিন আরাফাত ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমি প্রত্যেক ঈদে বসুন্ধরা সিটি থেকে শপিং করি, কিন্তু কোনোদিন স্ক্র্যাচ কার্ড ঘষে কিছুই পাইনি। তাই এটা নিয়ে ঘষা দেয়া মানে কিছুই না পাওয়ার হতাশা। এই প্রথম লটারিতে কোনো পুরস্কার পেলাম।’
কেমন লাগছে পুরস্কার পেয়ে জানতে চাইলে ইয়াসিন বলেন, ‘খুব ভালো লাগছে। কারণ আমি বা আমার বন্ধুরা কাউকেই দেখিনি কখনো কিছু পেতে। মনে করতাম ওরা ধান্দাবাজি করে, কিন্তু এখন দেখলাম ব্যাপারটা তা না। যার ভাগ্যে আছে সেই পায়।’
বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষ শপিং মলের কেনাকাটা বৃদ্ধি ও মানুষকে আকর্ষণ করার জন্য প্রত্যেক দোকানে ব্যবস্থা করেছেন এক হাজার টাকার পণ্য কেনাকাটায় একটি স্ক্র্যাচ কার্ডের। যা ঘষলেই খুলে যেতে পারে ক্রেতার ভাগ্য। সর্বোচ্চ পুরস্কার হিসেবে মিলবে মিতুসুবিশির অ্যাটট্রেজ(Attrage) প্রাইভেট কার, যার মূল্য ১৮ লাখ টাকা।
এ ছাড়া দ্বিতীয় পুরস্কার হিসেবে রয়েছে ইয়ামাহার ফেজার এফআই মডেলের মোটরসাইকেল। তৃতীয় পুরস্কার একই কোম্পানির ১২৫ সিসির আরেকটি মোটরসাইকেল। এ ছাড়া রয়েছে নানা ধরনের উপহারসামগ্রী।
ঈদ সামনে রেখে প্রতিদিন বসুন্ধরা সিটিতে কেনাকাটা করতে আসে হাজার হাজার মানুষ। এদের মধ্যে যারা ভাগ্যবান তারাই পাচ্ছেন স্ক্র্যাচ কার্ড ঘষে পুরস্কার। সেটার পরিমাণ কেমন জানতে চাইলে লটারি কার্যক্রমের সাথে জড়িত ইমরান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘প্রতিদিন গড়ে ৫০০ থেকে ৬০০ ক্রেতা পুরস্কার পান। ছুটির দিনে সেটার পরিমাণ ১৫০০ বা বেশি হয়। লটারি বা স্ক্র্যাচ কার্ড ব্যবস্থাটা তো এমনই যাদের ভাগ্য ভালো তারাই জিতে নেন পুরস্কার।’
(ঢাকাটাইমস/১১জুন/এনআই/জেবি)
মন্তব্য করুন