‘যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদের মূর্তপ্রতীক’
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের চলমান অস্থিতিশীলতার জন্য যুক্তরাষ্ট্র দায়ী। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ইরানের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট(আইএস) সৃষ্টি ও তাদের প্রতি মার্কিন সামরিক সহায়তার কথা উল্লেখ করে সর্বোচ্চ নেতা বলেন, আইএস বিরোধী জোট গঠনের দাবি নিতান্তই মিথ্যা।
তিনি আরো বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র কেবল অনিয়ন্ত্রিত আইএস সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এবং যারা আন্তরিকভাবে আইএস নির্মূল করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের অবস্থান। ইরান সন্ত্রাসবাদের প্রতি সমর্থন দিচ্ছে বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি যে দাবি করেছেন তাকে উদ্ভট বলে উড়িয়ে দেন সর্বোচ্চ নেতা।
আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেন, ‘এটা খুবই অদ্ভূত যে, মধ্যযুগীয় উপজাতি সৌদি আরবে দাঁড়িয়ে ট্রাম্প ইরানের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেছেন যেখানে গণতন্ত্রের ছিটেফোটাও নেই। অথচ ইরান হচ্ছে ইসলামিভিত্তিক জনগণের শাসনব্যবস্থার দেশ।’
ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর মার্কিন সামরিক হুমকি বাড়ানো ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকে কন্দ্রে করে নতুন নিষেধাজ্ঞার বিষয়েও সর্বোচ্চ নেতা কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের শত্রুতার মুখে ইসলামি ইরানের উন্নয়ন ও প্রগতির বিষয়ে অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদেরকে সহযোগিতা ও কঠোর পরিশ্রমের পরিবেশ তৈরি করতে হবে।’
ইরান ও ছয় দেশের মধ্যে সই হওয়া পরমাণু সমঝোতা চুক্তি সম্পর্কে আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেন, ‘এ নিয়ে আমাদেরকে সতর্কভাবে পর্যবক্ষেণ করতে হবে যে, সমঝোতার অন্যপক্ষ তার প্রতি সম্মান দেখাচ্ছে কিনা।’
ইরানের পরমাণু আলোচক দলের বিশেষ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফের প্রশংসা করে সর্বোচ্চ নেতা বলেন, এ আলোচক দল সম্পূর্ণভাবে বিশ্বাসযোগ্য ছিল কিন্তু আলোচনার অন্যপক্ষকে বিশ্বাস করা যায় না।
‘যুক্তরাষ্ট্র নিজেই সন্ত্রাসবাদের মূর্তপ্রতীক। সন্ত্রাসবাদ ও দমনপীড়নের মাধ্যমে গঠিত ইহুদিবাদী ইসরায়েলের মতো রাষ্ট্রকে সমর্থন দেয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বাস করা যায় না। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের জানা উচিত, দমন-পীড়িনের বিরুদ্ধে লড়াই ও ফিলিস্তিনিদের রক্ষার মতো অবস্থান থেকে ইরান কখনই সরে আসবে না।’
সূত্র: পার্স টুডে
(ঢাকাটাইমস/১৩জুন/এসআই)