বিপদসীমার নিচে নেমেছে তিস্তার পানি
নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধিতে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। মঙ্গলবার তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও তিস্তা নদীতে অভ্যন্তরে চরাঞ্চলের বসতবাড়িতে বন্যার পানি বয়ে যাচ্ছে।
নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলা তিস্তার বন্যার দুর্গতদের জন্য সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসনের ত্রাণভাণ্ডার থেকে জিআর এর ৪০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ডালিয়া বিভাগের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, গত দুই দিন ধরে উজানের ঢলে তিস্তার নদীর পানি ডালিয়াস্থ্য তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপদসীমার (৫২দশমিক ৪০) ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে আসায় তিস্তা নদীতে বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে তিস্তা অববাহিকার ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার চর ও গ্রাম প্লাবিত হয়ে ১০ হাজার পরিবার বন্যা কবলিত হয়ে পড়ে।
এদিকে উজানের ঢল কিছুটা কমে আসায় মঙ্গলবার দুপুরে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার নিচে নেমে আসে। সকাল ৬টা থেকে দুপুর পযন্ত ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এতে পানি কমেছে ৩০ সেন্টিমিটার। যেকোনো সময় উজানের ঢল নেমে এলে এতে নদীর পানি পুনরায় বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। বর্তমানে নদীর পানি বিপদসীমার নিচে নেমে আসায় তিস্তার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি ঘটে।
অপরদিকে তিস্তা নদীর বন্যার দুর্গতদের জন্য সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসনের ত্রাণভাণ্ডার থেকে জিআর এর ৪০ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ডিমলা উপজেলার জন্য ২৫ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৩৫ হাজার টাকা এবং জলঢাকা উপজেলার জন্য ১৫ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১৫ হাজার টাকা রয়েছে।
নীলফামার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকতা এটিএম খালেদুজ্জামান বলেন, জরুরি ভিত্তিতে তিস্তায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বরাদ্দ দেয়া হলেও সার্বিক পরিস্থিতি দেখে বিতরণ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
নীলফামারীর জেলা প্রশাসক খালেদ রহীম বলেন, তিস্তা নদীর বন্যা বিশেষ করে হয়ে থাকে উজানের ঢলে। ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলায় বন্যার শুরুতেই যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের জন্য চাল ও নগদ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া তিস্তা বন্যা এলাকার সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/০৪জুলাই/প্রতিনিধি/জেবি)