প্রধান বিচারপতির মডেল পাকিস্তান: মতিয়া

উচ্চ আদালতের বিচারপতির অপসারণসংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেয়ায় প্রধান বিচারপতিসহ সুপ্রিম কোর্টের কড়া সমালোচনা করেছেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।
মতিয়া বলেছেন, ‘আমাদের আশেপাশে একমাত্র পাকিস্তানে বিচারক অপসারণের ক্ষমতা আছে সুপ্রিম কোর্টে। সেই পাকিস্তান যে পাকিস্তান সম্পর্কে আমরা বলতাম, জিন্নাহ সাহেবের পাকিস্তান, চলে গেছে গোরস্তান। সেই গোরস্তানে যাওয়া পাকিস্তান এখন আমাদের প্রধান বিচারপতির আদর্শ বা মডেল।’
রবিবার জাতীয় সংসদে এ সংক্রান্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে মতিয়া এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, মইনুদ্দীন খান বাদলসহ বেশ কয়েকজন সাংসদ এই বিষয়ে আজ আলোচনা করেন। এ ব্যাপারে সংসদে আরও আলোচনা হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্পিকার।
মতিয়া চৌধুরী তার আলোচনায় এমিকাস কিউরি হিসেবে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের পক্ষে মত দেয়ায় ড. কামাল হোসেন ও ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলামের কড়া সমালোচনা করেন।
ড. কামাল বলেছেন তার তখন বয়স কম ছিল-এটা নিয়ে ব্যঙ্গ করেন মতিয়া। তাকে সংবিধানের প্রণেতা বলা নিয়েও সমালোচনা করেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধে ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলামের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মতিয়া। জানান, আমিরুল ইসলাম তখন ব্রিটেনের স্টোন হার্মসের সঙ্গে মিলে ফান্ড সংগ্রহ করেছিলেন। সেই ফান্ডে তসরুফের জন্য স্টোন পরবর্তী সময়ে ব্রিটেনে দণ্ডিত হয়েছিলেন। ব্যারিস্টার আমিরুলকে ‘রতনে রতন চিনে’ বলে ব্যঙ্গ করেন কৃষিমন্ত্রী।
বিচারপতিদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা যাবে না মর্মে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারের জারি করা নির্দেশনারও সমালোচনা করেন তিনি। বলেন, এটা বিচারপতি সিনহার একক সিদ্ধান্ত। তিনি প্রধান বিচারপতিকে ‘ন্যায়বিচারের প্রতিবন্ধক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
(ঢাকাটাইমস/০৯জুলাই/জেবি)

মন্তব্য করুন