ডেমরার এসিসহ ১২ পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা

রাজধানীর ডেমরা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) ইফতেখারুল ইসলামসহ ১২ পুলিশ সদস্য এবং দুই সোর্সের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা করেছেন এক নারী।

শাহানা আক্তার নামের ওই নারী বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম খুরশীদ আলমের আদালতে এ মামলা করেন। বিচারক বাদীর জবানবন্দি নেয়ার পর ১৯ জুলাই মামলা গ্রহণ বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- যাত্রাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (প্রশাসন) আনিসুর রহমান, অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) তোফায়েল আহমেদ, এসআই জাকির হোসেন, ওমর ফারুক, কবির হোসেন উকিল, শাহীন পারভেজ, লক্ষীকান্ত রায়, শহীদুল্লাহ, কেএম এনায়েত হোসেন, এএসআই আতোয়ার রহমান, কনস্টেবল সাইফুল, পুলিশের সোর্স খোকন ও সুমন। বাদিনীর অভিযোগ, তার স্বামী ফরমান উল্লাহ সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত ছিলেন। তিনি যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশকে পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী ও স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগসাজশ রেখে নিরীহ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করতে দেখতে পান। এ ব্যাপারে তিনি গত ৫ মে, ৮ ও ১৬ জুন ডাকযোগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরে পৃথক তিনটি অভিযোগ করেন। অভিযোগের বিষয়ে জানতে পেরে আসামিরা তাকে ফোন করে থানায় নিয়ে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিতে বলেন। তা না হলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, এরপর গত ২১ জুন বাদীর স্বামীকে রাজধানী সুপার মার্কেট থেকে আসামিরা টেনেহিঁচড়ে যাত্রাবাড়ী থানায় নিয়ে যায়। বাদী ওয়ারী জোনের ডিসি ফরিদকে বিষয়টি জানালে তিনি আসামি ইফতেখারুলকে ফোন করে তাকে ছেড়ে দিতে বলেন এবং বাদীকে থানায় গিয়ে তার স্বামীকে নিয়ে আসতে বলেন।

বাদিনী থানায় গেলে আসামি ইফতেখারুল ডিসি ফরিদকে গালিগালাজ করে নিজেকে নারায়ণগঞ্জের এমপি শামীম ওসমানের মেয়ের জামাই বলে পরিচয় দেন এবং বাদীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও চরথাপ্পড় মারেন। ওই সময় বাদী তার স্বামীকে ছেড়ে দিতে অনুরোধ করলে আসামি ইফতেখারুল তার স্বামীকে ছেড়ে দিতে ৬ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এরপর বাদী তাদের দুই লাখ টাকা দেন।

এর আগেই আসামিরা বাদীর স্বামীকে মারধর করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন অভিযোগ করে মামলায় উল্লেখ করা হয়, বাদী হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারেন তার স্বামীকে মাদকের তিনটি মিথ্যা মামলায় কোর্টে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

পুলিশের ঊর্ধ্বতন মহলে অভিযোগ করলেও তারা কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় বাদী আদালতে মামলা করেন বলে জানান।

(ঢাকাটাইমস/১২জুলাই/মোআ)