গাইবান্ধায় বন্যার অবনতি, বাঁধ ধসের আশঙ্কা

গাইবান্ধা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৫ আগস্ট ২০১৭, ১৭:২৩

বন্যার পানি অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। প্রায় ৩৮টি ইউনিয়ন ডুবেছে পানিতে। বাঁধ ধসের আশঙ্কায় লোকজনকে নিরাপদ জায়গায় সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করেছে জেলা প্রশাসন।

গত ২৪ ঘণ্টায় মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত তিস্তামুখ ঘাট পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ১০০ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

অপরদিকে ঘাঘট নদীর পানি গাইবান্ধা শহর পয়েন্টে বিপদসীমার ৭৭ সে.মি. ও সুন্দরগঞ্জ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি ৬ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান ঢাকাটাইমসকে জানান, জেলার প্রায় ৭৮ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের মধ্যে ফুলছড়ির সিংড়িয়া এলাকায় ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ১০টি পয়েন্টে লিকেজ দেখা দিয়েছে। বালির বস্তা এবং বাঁশের পাইলিং করে ওই স্থানগুলো রক্ষা করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়া ঠিকাদারের শ্রমিক ছাড়াও রংপুর-৬৬ ডিভিশনের সেনাবাহিনীর ৮৫ জনের একটি টিম ওইসব স্থানগুলোতে কাজ করছে।

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার ৩৮টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। ওইসব ইউনিয়নের প্রায় আড়াই লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘরবাড়ি ডুবেছে ৩২ হাজার ৫৫টি। ইতোমধ্যে আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে ৬৯টি। এইসব আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণ করেছে প্রায় ৬ হাজার জন মানুষ। এছাড়া বাঁধের বিভিন্ন পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ ও ধ্বসের আশঙ্কা থাকায় বাঁধ সংলগ্ন লোকজনকে তাদের স¤পদ নিয়ে নিরাপদ আশ্রয় চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে মাইকিং করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল জানান, এবারের বন্যা কবলিত মানুষদের জন্য এ পর্যন্ত ১০০ টন চাল ও নগদ ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ৮০ মে.টন চাল ও আড়াই লাখ টাকা উপদ্রুত এলাকায় বিতরণ করা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৫আগস্ট/প্রতিনিধি/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :