জিয়া অরফানেজ ও চ্যারিটেবল মামলায় সাফাই সাক্ষ্য
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট এবং চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় এক আসামির পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন দুজন। মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার বকশীবাজারে ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. আকতারুজ্জামান এ তারিখ ধার্য করেন।
এরপর ওই আদালতে আসামি কাজী সলিমুল হক কামালের পক্ষে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দুজন সাক্ষী সাফাই সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন, আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ এবং প্রাইম ব্যাংকের কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর কবির। সাফাই সাক্ষ্যের পর তাদের জেরা করেন দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মোশারফ হোসেন কাজল।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ তিন আসামির জামিন বাতিল হবে কি হবে না এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার দিন ধার্য থাকলেও এদিন আদেশ দেননি আদালত। গত ৩ আগস্ট আদালত এই তিন আসামির জামিন বাতিলের বিষয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। ২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি করে দুদক। ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি অভিযোগপত্র দাখিল করা হয় আদালতে।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী, তার তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
আর এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটি করে দুদক। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। চার্জশিটে খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে তারেক রহমান, সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেকসচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়।
উভয় মামলায় খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তৎকালীন বিচারক বাসুদেব রায় চার্জগঠন গঠন করেন।
(ঢাকাটাইমস/২৪আগস্ট/মোআ)