বিজয়ের ৪৬ বছর পর মুছল পাকিস্তানের নাম
দেশ স্বাধীন হওয়ার ৪৬ বছরেও পাকিস্তানের নাম কাটা হয়নি চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট সীমান্তের পিলারগুলো থেকে। তবে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির উদ্যোগে সে ভার লাঘব হয়েছে। পাকিস্তানের নাম কেটে বাংলাদেশ লেখা হয়েছে এসব পিলারে।
বুধবার ভারত সীমান্তে বিজিবির এই উদ্যোগের সময় সেখানে ছিল ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফও। আর এতে সন্তোষ জানিয়েছে এলাকাবাসী।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানের পরাধীনতার কবল থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর স্বাধীনতার যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশের অন্যান্য সীমান্তের মত চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তের পিলারগুলো থেকে ‘পাকিস্তান’ কেটে ‘বাংলাদেশ’ লেখা হয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে বাদ পড়ে যায় ভোলাহাট উপজেলার চামুসা, গিলাবাড়ি ও চাঁনশিকারী সীমান্তের ১২টি পিলার।
সম্প্রতি বিষয়টি নজরে এলে তা সংশোধনের জন্য তৎপরতা শুরু করে বিজিবি। কিন্তু নানা জটিলতায় দীর্ঘদিনেও সংশোধনের প্রক্রিয়া সম্ভব হয়নি। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৯ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক হিসেবে লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশেদ আলী দায়িত্বে এলে নতুন করে এ তৎপরতা শুরু করেন।
এরপর বিজিবির পক্ষ থেকে এ ব্যাপাকে বিএসএফের কাছে একাধিক চিঠি দেয়া হয়। আর বিএসএফ বিষয়টিতে সম্মতি দেয়ার পর বুধবার দুপুর থেকে সীমান্ত পিলারগুলোর ভুল সংশোধনের কাজ শুরু করে বিজিবি।
৫৯ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক রাশেদ আলীর নেতৃত্বে বিজিবি সদস্যরা ভোলাহাটের চামুসা, গিলাবাড়ি ও চাঁনশিকারী সীমান্তের ১২টি পিলারের ‘পাক’ শব্দের পরিবর্তে ‘বাংলা’ শব্দ প্রতিস্থাপন করেন।
এ সময় ভারতের মালদা জেলার ৮২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের পক্ষে বিরেন্দ্র শিং, জি কেরকাটা ও অরবিন্দ কুমারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
৫৯ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক রাশেদ আলী ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ ১২ সীমান্তে ‘পাক’ পাল্টে ‘বাংলা’ করায় বিজিবিসহ ওই উপজেলার সবাই আনন্দিত।’ তিনি বলেন, ‘উদ্যোগ আগের হলেও বিজয়ের মাসে এসে করতে পেরেছি। এতে আমরা খুশি। আর আমাদের সাথে বিএসএফের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। তারাও আনন্দ প্রকাশ করেছেন।’
মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার সিরাজুল হক বলেন, ‘সীমান্তের ওই পিলারগুলা আমাদের জন্য লজ্জা ছিল। বিজয়ের মাসে এসে পিলারগুলো থেকে পাকিস্তানের নাম কাটা যাওয়ায় ভালো লাগছে। এ জন্য বিজিবি ও সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।’
ঢাকাটাইমস/০৬ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি