বঙ্গবন্ধুর খুনি, যুদ্ধাপরাধীদের জন্য দোয়াকারী মাদ্রাসা শিক্ষক রিমান্ডে
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর খুনি এবং যুদ্ধাপরাধীদের বেহেশত চেয়ে পরপর মোনাজাত পরিচালনা করা গোপালপুর কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ফায়জুল আমীন সরকারকে রিমান্ডে দিয়েছে আদালত। তাকে দুই দিন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ।
সোমবার ফায়জুল আমীনের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করে পুলিশ। মঙ্গলবার বিচারক গোলাম কিবরিয়া এ বিষয়ে আদেশ দেন।
টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান আল মামুন বলেন, ‘ফায়জুল আমীন সরকারের নিজ এলাকা এবং আগের কর্মস্থলে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। তিনি জামায়াত-শিবির কিংবা রাষ্ট্রবিরোধী জঙ্গিসংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডে জড়িত কি না জানার চেষ্টা চলছে।’
গোপালপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন ফায়জুল আমীন সরকার। এ সময় তিনি দুই বার বঙ্গবন্ধুর খুনি ও যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডিতদের বেহেশত কামনা করে দোয়া করেন। এ নিয়ে সেখানে উত্তেজনা দেখা দিলে তাকে আটক করে পুলিশে দেয়া হয়।
ওই রাতে উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও জেলা পরিষদের সদস্য আব্দুল কাদের তালুকদার বাদী হয়ে ফায়জুলের বিরুদ্ধে গোপালপুর থানায় মামলা করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গত রোববার সকালে ফায়জুলকে টাঙ্গাইলের বিচারিক হাকিম আদালতে পাঠায় গোপালপুর থানা পুলিশ। ওইদিন আদালতের বিচারক গোলাম কিবরিয়া জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পুলিশ জানায় ফায়জুলের বাড়ি কুমিল্লার ভাঙ্গুরা বাজার (পুরাতন মুরাদনগর) থানা এলাকায়। তিনি জামালপুরের সরিষাবাড়ীর আরামনগর কামিল মাদ্রাসায় ১৯৯৯ সালে থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। ২০০৯ সালে তিনি টাঙ্গাইলের গোপালপুর দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেন। মাদ্রাসার ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে থাকেন তিনি। তার পরিবার ঢাকায় থাকে।
ফায়জুল আমীন মাদ্রাসার শিক্ষকদের সংগঠন জামিয়াতুল মুদাররেছীন বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধিদলের সদস্য হয়ে গত মাসেই বিদেশ সফর করে এসেছেন তিনি।
ঢাকাটাইমস/১৯ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি