বড়দিনের উৎসবের অপেক্ষায় সিরাজদিখান

নাদিম মাহমুদ ও শাখাওয়াত হোসেন
মুন্সীগঞ্জ থেকে
| আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭, ২০:২৮ | প্রকাশিত : ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৯:০২

শুভ বড়দিন সোমবার। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের দিন। ২৫ ডিসেম্বর সোমবার রাত ১২ টা ১ মিটিটে প্রার্থনা মধ্য দিয়ে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড় দিন শুরু হবে। সকল মানুষের কল্যাণে প্রার্থনা করা হবে। বড় দিনকে ঘিরে মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদীখান উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের শুলপুর খ্রিষ্টান পল্লীতে চলছে সাজসজ্জা আর ব্যাপক সব প্রস্ততি। অতিথি আপ্যায়নে কোন রকমের ক্রটি না রাখতে রাখা হচ্ছে রকমারী সব পিঠাপুলির আয়োজন। বাড়ির সামনে সাজানো হচ্ছে ক্রিস্টমাস ট্রি। অপেক্ষার দিনক্ষণ শেষ হতে বেশি সময় দেরি না হলেও জেলার একমাত্র খ্রিস্টান পল্লীর পরিবারগুলোতে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

দুই হাজার ১৬ বছর আগের ২৫ ডিসেম্বরে জন্মগ্রহণ করেন খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, তিনি ঈশ্বরের পুত্র। পৃথিবীতে শান্তির বাণী ছড়িয়ে দিতে আগমন ঘটেছিল তার।

সরেজমিনে দেখো গেছে, সিরাজদিখান উপজেলার শুলপুর ‘সাধু যোশেফ গির্জায়’ সাজানো হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ঝলমলে আলোক সজ্জায়। গির্জার অভ্যন্তরের দৃষ্টিনন্দন ভাবে ডিসপ্লে করা হবে কুড়ে ঘরের অভ্যন্তরের মাদার মেরির কোলে যিশুখ্রিষ্টের প্রতিচ্ছবি। প্রার্থনা করতে আগত পূণ্যার্থীদের আগমন নিরবিচ্ছিন্ন করতে তৈরি করা হচ্ছে বিশেষ ভলান্টিয়ার টিম। সব মিলিয়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করে চলছে জেলার একমাত্র খ্রিস্টান পল্লী শুলপুর গ্রামে।

উপজেলার ৩টি গ্রামের প্রায় ৩৮৫ টি পরিবারে উৎসব পালনের প্রস্থতি চলছে। খ্রিস্টাান ধর্মালম্বীদের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ২৫ ডিসেম্বর আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি। এদিকে দিনটিকে জাঁকজমকভাবে ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্যের মাধ্যমে পালনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে খ্রিষ্টান পল্লী। চারিদিকে নানা রং-বেরংঙ্গে সাজিয়েছেন প্রত্যেকটি বাড়ি।

সাধু যোশেফ গির্জায়’ ফাদার গাব্রিয়েল কোড়াইয়া বলেন, ‘এ বছরটি বড়দিন উদযাপন আমাদের খ্রিস্টানদের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ প্রথমত আমরা প্রথমবারের মত পেয়েছি মহামান্য কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি রোজারিও সিএসসিকে দ্বিতীয়ত সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ বাংলাদেশে আসার কারণে খ্রিস্টানদের বড় দিনের প্রস্তুতি ও আনন্দ বাড়িয়ে দিয়েছে।

এ দিনটিকে কেন্দ্র করে খ্রিস্টান ধর্মালম্বীদের আয়োজন হয় অনেক বিয়ের। যে কারণে এই দিনকে কেন্দ্র করে সকল আত্মীয় স্বজনের উপস্থিতিও থাকে অন্যান্য সময়ের চেয়ে অনেক বেশী। নির্বিঘেœ ধর্মীয় ও অন্যান্য উৎসব পালনের জন্য নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা।

মুন্সীগঞ্জ জেলা খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন এর সহ-সভাপতি ও কেয়াইন ইউনিয়নের ৫ নং ওয়াডের ইউপি সদস্য নয়ন রোজারিও জানান, ‘পুলিশ, প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনে সার্বিক সহযোগীতা করছে বলেই আমরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করছি। তাছাড়া এ উপজেলায় অন্যান্য ধর্মাবলী লোকজন আমাদের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে অনুষ্ঠানকে আরোও মুখরিত ও প্রাণবন্ত করে তোলবে।

এ ব্যাপারে সিরাজদিখান সার্কেল এএসপি কাজী মাকুসদা লিমা জানান, খ্রিস্টান ধর্মাবলীদের সব চেয়ে ধর্মীয় বড় দিনের উৎসবকে যথাযথভাবে পালনের জন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি।

(ঢাকাটাইমস/২৪ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :