২০ দলীয় জোট ৭০ সালেও ছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৯ মার্চ ২০১৮, ২২:৩৬

বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের মতো ১৯৭০ সালের নির্বাচনেও আওয়ামী লীগবিরোধী একই নামে জোট ছিল বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর সে সময় পাকিস্তানের সেনা শাসক ইয়াহিয়া খান এই জোটের ওপর ভরসা করেছিলেন বলেও জানান তিনি।

শুক্রবার রাজধানীতে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের ওপর সেমিনারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান।

পাকিস্তান আমলে ১৯৭০ সালের নির্বাচনের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তখন একটা ২০ দলীয় ঐক্যজোট করা হয়, একটু মিলিয়ে দেখবেন। এখনও কিন্তু ২০ দলীয় জোট আছে।’

‘গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট ছিল ২০ দলীয় ঐক্যজোট নিদেনপক্ষে ৫০-৬০টা সিট তো পাবেই। কাজেই আওয়ামী লীগের মেজোরিটি পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।’

সে সময় অন্যান্য অনেকের মতো গোয়েন্দা বিভাগের বাঙালি কর্মকর্তারাও আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করতেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। আর তাদেরকে ব্যবহার করেই নির্বাচনের ফলাফল কী হতে পারে, সে বিষয়ে আওয়ামী লীগ পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর কাছে বিভ্রান্তিকর বার্তা পাঠিয়েছিল বলে জানান তিনি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘অনেকে (বাঙালি গোয়েন্দা কর্মকর্তা) গোপনে এসে আব্বার সঙ্গে দেখা করে যেতেন, মার সঙ্গে দেখা করতেন। তাদেরকে যেভাবে তিনি নির্দেশ দিতেন সেভাবেই তারা রিপোর্ট দিত। সেখানে আমাদের দূর সম্পর্কের আত্মীয়ও ছিল। তিনি গোপনে এসে দেখাও করে যেতেন।’

‘তারা ওইভাবেই রিপোর্ট দিত। তারা কখনও রিপোর্ট দেয়নি যে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। তারা সব সময় ওই ভাবেই রিপোর্ট দিত যে ২০ দল অনেকগুলো সিট পাবে, কোনো চিন্তা নেই।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘নির্বাচনের রেজাল্ট কী হবে, এটা সম্পর্কে কিন্তু তিনি (বঙ্গবন্ধু) জানতেন। তিনি নিজেই অনেক সময় বলেছেন, মাত্র দুইটা সিট আমি পাব না, বাকি সব আমি পাব। ঠিক নির্বাচনের রেজাল্ট যখন এসেছে, এটাই দেখা গেছে।’

‘নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমগ্র পাকিস্তানে ন্যাশনাল এসেম্বলিতে মেজোরিটি সিট পাবে, এটা ইয়াহিয়া ভাবতেই পারেনাই। আর ভাবতে পারেনাই বলেই তাদের টালবাহানা শুরু।’

‘তারা কিছুতেই মানতে চায়নি, বাঙালিরা কীভাবে শাসনভার নেবে? কখনও বাঙালি ক্ষমতায় যাবে, এটা তাদের কাছে কখনও গ্রহণযোগ্য ছিল না।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘পাকিস্তানিদের সব সময় একটা গর্ব ছিল, ভাবত বাঙালিরা আর কী যুদ্ধ করবে? ওরা লম্বায় খাটো, ওদের বুকের মাপ কম, ওদের সাহস নাই, ওরা আবার কী যুদ্ধ করবে?’।

‘কিন্তু যখন তাদের হাতে মার খেতে শুরু করল, তারা জবাব পেয়ে গেল। পাকিস্তান হানাদার বাহিনী সারেন্ডার করতে বাধ্য হলো। ইয়াহিয়া খানের পতন হলো। ভুট্টো প্রেসিডেন্ট হলো এবং আন্তর্জাতিক চাপে তিনি বাধ্য হলেন বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে।’

ঢাকাটাইমস/০৯মার্চ/টিএ/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনে যাওয়ায় বিএনপির ৭৩ নেতা বহিষ্কার

‘ফরিদপুরে সহোদর হত্যায় প্রভাবশালীদের এখনো গ্রেপ্তার করেনি প্রশাসন’

জাপার একাংশের শনিবারের সভা স্থগিত, বিতরণ করবে পানি ও স্যালাইন

পাকিস্তান প্রশংসা করে অথচ বিএনপি উন্নয়ন দেখতে পায় না: ওবায়দুল কাদের 

নতজানু সরকারকে ক্ষমতায় রেখে মানুষের সমস্যার সমাধান হবে না: সালাম 

খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক

ঝিনাইদহ-১ উপনির্বাচন: আ.লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের আহ্বান

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি ১২ দলীয় জোটের

বিএনপি নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে: ওবায়দুল কাদের

প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় ‘এমপিরাজ’ তৈরি হয়েছে: রিজভী

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :