নাটোর-বগুড়া মহাসড়কে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

নাটোর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৮ অক্টোবর ২০১৮, ২০:৪৫

সড়ক পরিবহন আইনের কয়েকটা ধারা পরিবর্তনসহ আট দফা দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের প্রথম দিনে নাটোরে বেশকিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। শ্রমিক ধর্মঘটের আড়ালে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট যানবাহন এবং সংবাদপত্রের গাড়ি থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে।

সূত্র জানায়, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ধর্মঘটের প্রথম দিনে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের শ্রমিকরা পথে পথে চাঁদাবাজি শুরু করে বলে অভিযোগ উঠেছে।

রবিবার ভোর থেকেই সিংড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শ্রমিক কালামের নেতৃত্বে শুরু হয় ছোট ছোট অটোভ্যান রিকশার ড্রাইভার ও যাত্রীদের মারধর এবং হুমকি-ধামকি। এসময় অটো ভ্যান থেকে শ্রমিকরা ১০০ থেকে আড়াইশ টাকা আদায় করেন। এসময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি আটকে দেয় শ্রমিকরা। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এক শ্রমিককে বেধড়ক মারধর করে।

এছাড়া সকাল ৮টায় বন্দর এলাকায় সিংড়া পল্লী বিদ্যুতের কয়েকজন মহিলা কর্মচারীর গাড়িতে হামলা করে ড্রাইভারকে বেধড়ক মারপিট করেন বন্দরের স্থানীয় শ্রমিকরা। পরে সেখানেও শ্রমিকরা চাঁদাবাজি করেন। এছাড়া শেরকোল এলাকায় দিনভর বিভিন্ন গাড়ি আটকে নাটকীয় কায়দায় চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে। এতে ভোগান্তি চরম মাত্রায় পৌঁছে যায়।

সংবাদপত্রের গাড়িচালক নুর নবী বলেন, সিংড়ার শেরকোল এলাকার শামিম হোসেন নামে এক শ্রমিক গাড়ি আটকে দেয়। এসময় দুইশ টাকা চাঁদা না দিলে গাড়ি ছেড়ে দেয়া হবে না। পরে এক শ্রমিক নেতাদের হস্তক্ষেপে গাড়ি ছেড়ে দেয় তারা।

সিংড়া উপজেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুস সাত্তার বলেন, সকালে কালাম নামে একজন শ্রমিক রাস্তায় খারাপ আচরণ করায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা গাড়ি থামিয়ে তাকে সাজা দিয়েছে। কিন্তু তিনি আসার পর থেকে কেউ কোন চাঁদাবাজি করছে কিনা সেটা তার জানা নেই।

সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, চাঁদাবাজির বিষয়টি জানা নেই। তবে কেউ যদি এই রাস্তায় চাঁদাবাজি বা অযথা যাত্রীদের হুমকি-ধামকি দেয় সে বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।

এর আগে সড়ক পরিবহন আইনের কয়েকটি ধারা পরিবর্তনসহ আট দফা দাবিতে সারাদেশের মতো নাটোরে যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি করেন শ্রমিকরা। এছাড়া নাটোর থেকে দূরপাল্লার বা আন্তঃজেলা পরিবহনের কোন যানবাহন ছেড়ে যায়নি বা আসেনি। শহরের বড় হরিশপুর বাইপাস এলাকায় বাস টার্মিনালে যাত্রীবাহী সকল বাস থেমে থাকতে দেখা গেছে। হঠাৎ করে ডাকা এই ধর্মঘটের কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে রাজশাহী, পাবনা, বগুড়াসহ বিভিন্ন স্থানে কর্মরত অফিসগামী যাত্রী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সকল যাত্রীরা। ব্যাটারিচালিত থ্রি-হুইলারসহ ছোট ছোট যানবাহনে করে তাদের গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। তবে ধর্মঘটের সুযোগে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।

(ঢাকাটাইমস/২৮অক্টোবর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :