বাবা ধানের শীষ, ছেলে চান নৌকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
 | প্রকাশিত : ১৫ নভেম্বর ২০১৮, ১০:৫৯

বাবা মনিরুল ইসলাম ইউসুফ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি, ছেলে নিয়াজ মোর্শেদ এলিট আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক উপ-কমিটির সদস্য। বাপ-বেটা আগামী নির্বাচনের চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসন থেকে নিজ নিজ দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী।

মনিরুল ইউসুফ বড়তাকিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান আর নিয়াজ এলিট একই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। কিন্তু বাপ-বেটার সে পরিচয় ছাপিয়ে রাজনীতির মাঠে তারা এখন পরস্পরের প্রতিপক্ষ।

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন মনিরুল। অন্যদিকে নিয়াজ ৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে তা জমা দেন।

বাব-বেটার একই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের মনোনয়ন সংগ্রহ করায় ভোটের মাঠে জন্ম নিয়েছে কৌতূহল। নিজ নিজ দলের মনোনয়ন পেলেই ভোটের মাঠে মুখোমুখি হবেন বাবা-ছেলে।

তবে মনিরুল বলেন, ‘লড়াইটা বাবা-ছেলের নয়। এটা রাজনৈতিক আদর্শের। পরিবারের বাইরে আমরা যার যার আদর্শ লালন করি। দেশে এর আগেও এমনটা ঘটেছে। এলিট তার নিজের নির্বাচন করবে। আমি আমার নির্বাচন করব। আমি আশাবাদী দল থেকে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমার মূল্যায়ন করা হবে।’

নিয়াজ মোর্শেদ এলিট বলেন, ‘এলাকার তৃণমূল নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের অনুরোধে নির্বাচন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছি। এখানে বাপ-ছেলে বলে কিছু নেই। বর্তমানে তরুণ নেতৃত্ব দেশের উন্নয়নে যে ভূমিকা রাখছে, সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে মিরসরাইয়ের জনগণও চায় পরিবর্তন হোক; নতুন নেতৃত্ব আসুক। আমি আশাবাদী দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয়, তাহলে আমি বিজয়ী হয়ে নেত্রীকে মিরসরাই আসন উপহার দিতে পারব।’

মিরসরাই উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভা নিয়ে আসনটি গঠিত। ভোটার ২ লাখ ৭৩ হাজার ৫৬ জন। এখানেই নির্মিত হচ্ছে এশিয়ার বৃহত্তম শিল্পপার্ক মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল।

এখানে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য মোশাররফ হোসেন নৌকার আরেক দাবিদার।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক শাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আমীন ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আমিন সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

১৯৯১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মোশাররফ হোসেনকে হারিয়ে আসনটিতে নির্বাচিত হন বিএনপির এম এ জিন্নাহ। ১৯৯৬ সালে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কাছেও অল্প ভোটে হারেন তিনি। পরে উপ-নির্বাচনে বিএনপির এম এ জিন্নাহকে হারিয়ে সংসদ সদস্য হন মোশাররফ হোসেন। ২০০১ সালে বিএনপির এম এ জিন্নাহ আবার নির্বাচিত হন। ২০০৪ সালে তিনি বিএনপি ছেড়ে এলডিপিতে যোগ দিলে ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হন কামাল উদ্দিন চৌধুরী। ওই নির্বাচনে মোশাররফ হোসেন এক লাখ পাঁচ হাজার ৩৩৯ ভোট পেয়ে জেতেন। কামাল উদ্দিন চৌধুরী পান ৯৪ হাজার ৬৬৫ ভোট। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মোশাররফ জেতেন।

ঢাকা টাইমস/১৫ নভেম্বর/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :