ভারতের রপ্তানির খবরে ১০ টাকা কমলো পেঁয়াজের দাম

প্রায় ছয় মাস পর পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ভারত। এদিকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই কমতে শুরু করেছে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম।
খুচরা পর্যায়ে পাবনার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৬০ টাকায় আর ফরিদপুরের হাইব্রিড জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিতে সর্বোচ্চ ৫৫ টাকা। অর্থাৎ কেজিতে পেঁয়াজের দাম কমেছে ৫ থেকে ১০ টাকা।
সোমবার রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার সরেজমিন ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
রামপুরা কাঁচাবাজারের সাকিব ওনিয়ন-এর স্বত্বাধিকারী মো. হাবিব মিয়া ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘নিয়মিত সরবরাহ থাকলে পেঁয়াজের দাম কমে আসবে। সরবরাহ থেমে গেলেই দাম বেড়ে যায়। তখন আমাদের বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে হয় বিক্রিও করতে হয় বেশি দামে।’
খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা মিলন তাঁতী ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমরা যদি আড়তদারদের থেকে তুলনামূলক কম দামে কিনতে পারি আমরাও চেষ্টা করি প্রতিযোগিতামূলকভাবে কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে।’
আসিফ ইকবাল একটি জাহাজ কোম্পানিতে চাকরি করেন। চাকরির সুবাধে মাসের বেশিরভাগ সময় তাকে জাহাজেই থাকতে হয়। স্ত্রী ও সন্তানের পরিবারের সবাই রামপুরা থাকেন। পরিবারের জন্য তিনি মাসে একবার বাজার করে দিয়ে যান।
ঢাকা টাইমসকে তিনি বলেন, ‘বাজার করতে এসে শুনলাম পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ১০ টাকা। তাই বাসার জন্য বেশি করে পেঁয়াজ কিনে নিয়ে যাচ্ছি।’
আরেক ক্রেতা পারভীন বেগম ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমদানির কোনো বিকল্প নেই। দাম কমায় পেঁয়াজের বাজারে স্বস্তি ফিরেছে। ভারতীয় পেঁয়াজ এলে দাম আরও কমতে পারে।’
গত ডিসেম্বর থেকে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ভারত। এতে দেশের বাজারে প্রভাব পড়েছে ভরা মৌসুমেও।
পেঁয়াজ রপ্তানিতে সেই নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে ভারত। গত ৪ মে প্রায় ৬ মাস পর নিষেধাজ্ঞা তুলে প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য ৫৫০ ডলার নির্ধারণ করেছে দেশটির সরকার।
(ঢাকাটাইমস/০৬ মে/এমএইচ/এসআইএস)

মন্তব্য করুন