প্রশ্ন ফাঁস: জনতা ব্যাংকে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২২ মে ২০১৭, ১৬:৫৮ | প্রকাশিত : ২২ মে ২০১৭, ১৫:৫৮

প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে রাষ্ট্রয়াত্ত জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদে নিয়োগে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশসহ পরবর্তী কার্যক্রমে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট।

১৫ জন চাকরি প্রার্থীর করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি ইকবাল কবির লিটনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার রুলসহ এই আদেশ দেন। রুলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তদন্ত এবং পরীক্ষার ফলাফল বাতিলে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

অর্থ সচিব, আইন সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, সভাপতি ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিনসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মনিরুজ্জামান।

ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া জানান, গত ২১ এপ্রিল জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু পরীক্ষার আগেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। গণমাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি উঠে আসে। গত সপ্তাহে ১৫ জন চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ এনে হাইকোর্টে রিট করেন। সেই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত আজ নিয়োগ প্রক্রিয়া তিন মাসের জন্য স্থগিত করে।

২০১৬ সালের ১০ মার্চ ৮৩৪টি পদের বিপরীতে জনতা ব্যাংকের নির্বাহী কর্মকর্তা বা এক্সিকিউটিভ অফিসার পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি। এই পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্ব পায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ।

চলতি বছরের ২৪ মার্চ সকাল ও বিকালে প্রাথমিক বাছাই (প্রিলিমিনারি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তাতে আড়াই লাখ প্রার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হন ১০ হাজার ১৫০ জন। শুক্রবার নয় হাজার ৪০০ জন লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন।

ঢাকাটাইমস/২২মে/এমএবি/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :