বাড্ডা ও ভাটারার ওসির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১১ জুন ২০১৭, ১৬:০৮| আপডেট : ১১ জুন ২০১৭, ২১:২৫
অ- অ+

রাজধানীর বাড্ডা ও ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ১১ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলার পর অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত। দুই ওসি ছাড়া বাকি আসামিদের মধ্যে দুইজন উপপরিদর্শক (এসআই), তিনজন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) এবং একজন আইনজীবী। বাকিদের পেশাগত পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম মাজহারুল ইসলাম শুনানি শেষ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে আগামী ৭ আগস্ট প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

দুই থানার ওসিরাই তাদের বিরুদ্ধে আনা চাঁদাবাজির মামলা মিথ্যা দাবি করেছেন। তারা বলেছেন, হয়রানি করতেই এই মামলা করা হয়েছে। আইনগতভাবে মোকাবেলার কথাও বলেছেন দুই ওসি।

বাড্ডার মামলাটি করেন নুরুন নাহার নাছিমা বেগম নামে একজন। এ মামলার মোট আসামি বাড্ডা থানার ওসিসহ আট জন। আসামিরা হলেন, ওসি এম এ জলিল, এসআই শহীদ, এএসআই দ্বীন ইসলাম, এএসআই আব্দুর রহিম, আইনজীবী জাহানারা রশিদ রূপা, রোকেয়া রশিদ, আতাউর রহমান কাইচার এবং শুক্কুর আলী।

অন্যদিকে ভাটারা থানার মামলার বাদী মমতাজ উদ্দিন খান। ওই মামলার আসামি ওসিসহ তিন জন। এরা হলেন, ওসি নুরুল মোত্তাকিন, এসআই বাবুল হোসেন এবং এএসআই মারুফ।

বাড্ডা থানার ওসির বিরুদ্ধে করা মামলার অভিযোগ

বাড্ডা থানার মামলার অভিযোগে বলা হয়, মামলার বাদী নুরুন নাহার নাছিমার সাথে মামলার পাঁচ নম্বর আসামি জাহানারা রশিদের (বাদিনীর সতীনের মেয়ে) সাথে জমিজমা নিয়ে মামলা চলে আসছিল। সেই সূত্র ধরে গত ২৬ মে ওসি এম এ জলিলের আদেশে এএসআই আব্দুর রহিম বাদিনীর ভাড়াটিয়াকে বাড়ি থেকে বের করে বাসার চাবি নিয়ে যান। বাদিনী চাবি ফেরত চাইতে থানায় গেলে আব্দুর রহিম ওসি এমএ জলিলের জন্য দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।

অভিযোগ বলা হয়, দাবি অনুযায়ী টাকা না দেয়ায় গত ১০ জুন আসামিরা বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে নিয়ে যায়। পাশাপাশি তারা বাদীর বাসার আসবাবপত্র তছনছ করে ২০ হাজার টাকা, পাঁচ ভরি স্বর্ণ এবং আসামি জাহানারা রশিদ বাদিনীর জমিজমার কাগজপত্র নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাড্ডা থানার ওসি এম এ জলিল ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘এটা একটা মিথ্যা মামলা। দুই নারী সম্পর্কে সৎ বোন, তাদের মধ্যে ঝামেলা ছিল। এ বিষয়ে আমার থানায় একটি ডিজি করা হয়। পরে আমাদের সঙ্গে তার (নুরুন নাহার নাছিমা বেগম) মতের মিল না হওয়ায় আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছেন তিনি।’

ভাটারা থানার ওসির বিরুদ্ধে করা মামলায় অভিযোগ

ভাটারা থানার মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৬ জুন আসামিরা ১০/১২ জন সিভিল পোশাকধারী পুলিশ সদস্য নিয়ে তার ভাটারা থানা এলাকার নুরের চালার বাসার গেটের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে। তারা তার ভাতিজা জহির ও রহমত উল্লাহসহ বাসিন্দাদেও বন্ধুক ও পিস্তলের বাট দিয়ে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। পুলিশ সদস্যরা সেদিন ঘরের বাসিন্দাদেও ক্রসফায়ারে হত্যার হুমকি দিয়ে ২৫ ভরি স্বর্ণ ও তিন লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলেও মামলায় বলা হয়।

এই মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ভাটারা থানার ওসি নুরুল মুত্তাকিম ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘মামলার বাদীর ছেলে একটি চুরির মামলার আসামি। তাদের ঘর থেকে চুরির মালামাল উদ্ধার হয়েছে। ওই মামলা থেকে বাঁচতে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।’

ঢাকাটাইমস/১১জুন/আরজেড/ডব্লিউবি

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ই-ক্রেডিট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম উদ্ভাবনী কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রথম জনতা ব্যাংক
এসএসসি পরীক্ষায় মাইলস্টোন কলেজের প্রশংসনীয় সাফল্য
বাবার কবর জিয়ারতে গিয়ে প্রাণ গেল ছেলের
ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে একধাপ অবনতি হামজাদের
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা