চুয়াডাঙ্গা-২: হামলা-মামলায় প্রতিকার মিলছে না
প্রচারণার শুরু থেকে বিএনপির নেতাকমীদের ওপর হামলা-মামলা ও তাদের আটক করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মাহমুদ হাসান খাঁন বাবু। তিনি বলেছেন, প্রতিকার চেয়ে তা মিলছে না। তবু শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকবেন তারা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ির নিজ বাসভবনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন এসব অভিযোগ করেন তিনি।
ধানের শীষের প্রার্থী বলেন, নির্বাচনী এলাকায় ধারাবাহিকভাবে হামলা ও অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে আওয়াম লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রতিও অভিযোগ করেন মাহমুদ হাসান খান। বলেন, ‘পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের মতো আচরণ করছে। গণগ্রেপ্তারের পাশাপাশি প্রতিদিন মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনো প্রতিকার মিলছে না।’
নির্বাচনী এলাকার কোথাও ধানের শীষের পোস্টার, লিফলেট বিলি ও নেতাকর্মীরা প্রচারণা চালাতে গেলে হামলার শিকার হচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন মাহমুদ হাসান। গত ১০ দিনে এই আসনের দুটি উপজেলায় প্রায় ২০টি হামলা হয়েছে আর তাতে শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন বলে জানান তিনি। ৫ দিনে ১০ মামলায় আসামি করা হয়েছে ৭ শতাধিক নেতাকর্মীকে।
সংবাদ সম্মেলনে গত ১০ দিনে তার নির্বাচনী এলাকার হামলা-মামলার চিত্র তুলে ধরে বিএনপির প্রার্থী বলেন, ‘শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমরা নির্বাচনের মাঠে থাকতে থাকব। সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য দেশবাসীর মতো আমরাও সেনাবাহিনীর দিকে তাকিয়ে আছি।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হবি, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি লিয়াকত আলী শাহ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সালমা জাহান পারুল প্রমুখ।
(ঢাকাটাইমস/২৫ডিসেম্বর/মোআ)