পদ্মা সেতু: কাল বসছে আরও এক স্প্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৪:৫৫| আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৪:৫৮
অ- অ+

পদ্মা সেতুতে কাল বসতে যাচ্ছে আরও একটি স্প্যান। বুধবার জাজিরা প্রান্তে ৩৫ ও ৩৬ নম্বর খুঁটির ওপর এই স্প্যান বসানো হবে। নতুন এ স্প্যানটি বসানো হলে পদ্মা সেতুতে মোট স্প্যানের সংখ্যা হবে আট।

এর আগে মাওয়া প্রান্তে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি স্প্যান স্থাপন করা হয়েছে। নতুন এ স্প্যানটি বসানো হলে দৃশ্যমান হবে ১ হাজার ২০০ মিটার।

এক মাসেরও কম সময়ের ব্যবধানে বুধবার জাজিরা প্রান্তে বসছে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সপ্তম স্প্যান।

কালে লৌহজং থেকে ১৫০ মিটার দীর্ঘ স্প্যান নিয়ে শরীয়তপুরের উদ্দেশে যাত্রা করে ভাসমান ক্রেন তিয়ান-ই।

পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের জানান, স্প্যান বহনকারী ভাসমান ক্রেনটি কাল সকাল নাগাদ জাজিরা প্রান্তে পৌঁছবে। পদ্মা সুপার স্ট্রাকচারের ৩৫ ও ৩৬ নাম্বার পিলারে বসবে সপ্তম স্প্যান। এর আগে, জাজিরা প্রান্তে ষষ্ঠ ও মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে অস্থায়ীভাবে একটি স্প্যান বসানো হয়।

পদ্মা সেতু প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে মাওয়ার কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে অষ্টম স্প্যানটিকে জাজিরা প্রান্তে ভাসমান ক্রেনে করে নেওয়া হচ্ছে। বিকাল নাগাদ স্প্যানটি সেখানে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। কাল সকাল আটটার মধ্যে স্প্যানটি বসানো হবে।

প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, জাজিরার প্রান্তে একটানা সপ্তম স্প্যান বসানো হচ্ছে। এ নিয়ে মোট স্প্যানের সংখ্যা হবে আট। পদ্মা সেতু নির্মাণে জাজিরা ও মাওয়া প্রান্তে স্প্যান বসানো হচ্ছে।

২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এ বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত সাতটি স্প্যান বসানো হয়। এর মধ্যে জাজিরা প্রান্তে ছয়টি ও মাওয়া প্রান্তে একটি স্প্যান বসানো হয়। নদীর জাজিরা প্রান্তে আগের ৩৬ নম্বর পিলার থেকে এগিয়ে মাওয়া প্রান্তের দিকে ৩৫ নম্বর পিলারের মধ্যে যোগ হবে নতুন স্প্যানটি। এছাড়া ৩৪ নম্বর পিলারও শতভাগ প্রস্তুত করে তোলায় কিছুদিনের মধ্যে আরও একটি স্প্যান বসানো সম্ভব হবে।

বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু প্রকল্পটির যাত্রা শুরু হয় ২০০৭ সালে। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ওই বছরের ২৮ আগস্ট ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করেছিল। পরে আওয়ামী লীগ সরকার এসে রেলপথ সংযুক্ত করে ২০১১ সালের ১১ জানুয়ারি প্রথম দফায় সেতুর ব্যয় সংশোধন করে।

বর্তমান ব্যয় ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি। মূল সেতু নির্মাণে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি। আর নদীশাসনের কাজ করছে চীনের আরেক প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রো করপোরেশন। দুই প্রান্তে টোল প্লাজা, সংযোগ সড়ক, অবকাঠামো নির্মাণ করছে দেশীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

ঢাকাটাইমস/১৯ফেব্রুয়ারি/ওআর

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
হাতিরপুলে গণসংহতি আন্দোলনের কার্যালয়ের সামনে দুই ককটেল বিস্ফোরণ
৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ১৬৯০ জন
এনসিপির ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি শুরু
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ ও যোদ্ধাদের স্মরণে ‘বিআরপি’র মশাল মিছিল
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা