এক রাতে গুলিতে চার ‘মাদক কারবারি’ নিহত
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় এক রাতে পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে চারজন নিহত হয়েছেন, যারা মাদক কারবারি বলে দাবি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।
দুটি বন্দুকযুদ্ধের মধ্যে একটি ঘটেছে শুক্রবার ভোররাতে। উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের পুরনো মগপাড়ার কাঁকড়া প্রজেক্ট এলাকার এই বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন দুইজন। এছাড়া বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে হ্নীলা নয়াপাড়া এলাকায় আরেকটি বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় নিহত হন সমান সংখ্যক মাদক কারবারি।
নিহতদের মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- নজির আহমেদ ও গিয়াস উদ্দিন। বাকিদের নামপরিচয় জানা যায়নি।
টেকনাফ ব্যাটালিয়ন-২ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আছাদুদ-জামান চৌধুরী জানান, সাবরাং ইউপির পুরাতন মগপাড়া কাঁকড়া প্রজেক্ট এলাকা দিয়ে বিপুল ইয়াবা বাংলাদেশে আনা হচ্ছে এমন খবরে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন ২ বিজিবির নায়েব সুবেদার মো. শাহ আলমের নেতৃত্বে টহলদল ওই এলাকায় যায়। ভোর সোয়া পাঁচটার দিকে টহলদলের উপস্থিতি লক্ষ্য করা মাত্রই ইয়াবা কারবারিরা টহলদলকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। এতে বিজিবির এক সদস্য আহত হন। জবাবে বিজিবি পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। পরে ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে দুইজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাদের উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন। নিহতদের নামপরিচয় জানা যায়নি।
এছাড়া বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে আনুমানিক এক লাখ পিস ইয়াবা, একটি বন্দুক ও একটি খালি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
অন্যদিকে টেকনাফ থানা পুলিশের ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুটার দিকে টেকনাফের হ্নীলা নয়াপাড়া এলাকায় দুদল ইয়াবা কারবারির গোলাগুলির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশকে দেখে ইয়াবা কারবারিরা গুলি ছুঁড়লে পুলিশও কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে।
পরে ঘটনাস্থল থেকে নজির ও গিয়াস নামে দুইজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া যায়। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে দুটি এলজি, ৬ হাজার পিস ইয়াবা, ৬ রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও ১৩টি গুলির খোসাও উদ্ধার করা হয়।
(ঢাকাটাইমস/১মার্চ/প্রতিনিধি/এমআর)