বাজেট ও বাজেটীয় চাপ

মানিক মুনতাসির
 | প্রকাশিত : ০১ জুলাই ২০১৯, ১৬:২১

বাজেট পাসের আগেই বিভিন্ন ধরনের জিনিসের দাম বেড়েছে। অথচ অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন এবার বাজেট পাসের পর একটি জিনিসের দামও বাড়বে না। আমরা বলার কাজ বলে যাই। আবার পলিসি যখন যা প্রয়োজন কিংবা ইচ্ছা তাই করি। আমজনতা সব সময়ই উপেক্ষিত। দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। কিছু মানুষের আয়ও বাড়ছে। কিন্তু জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ছে সবার বেলায়। এবার গ্যাসের দামও বাড়ল। অন্যদিকে নিম্ন, মধ্যবিত্তীয় নামের বলয়ে বসবাসকারীদের ওপর ব্যয়ের চাপ বাড়ছে প্রতিদিনই। দুদিন বাদে হয়তো বাস ভাড়াও বাড়বে। শুরু হবে হট্টগোল। চলবে কদিন। তারপর সব চুপচাপ। এই যে এখন সর্বনিম্ন বাস ভাড়া ৭/৮ টাকা। এটা কি কোনো বাসে মানা হয়। মোটেই না।

১০ টাকার নিচে কোনো বাস ভাড়া নেই। আর ঢাকার সব বাসই যেন সিটিংয়ের নামে চিটিংবাজি চালিয়ে যাচ্ছে। এটা আসলে জনগণের চামড়ায় সয়ে গেছে।

আজকের পর হয়তো শুরু হবে বাড়িওয়ালাদের ঘেনঘেনানি। বাড়বে ভাড়া। চাপে পড়ছি, পড়বো। চাপেই মরবো।

আজ সকালে ছেলেকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার পথে দেখলাম ষাটোর্ধ এক বৃদ্ধ টুকড়ি নিয়ে রাস্তায় বসে কাঁদছে। কাছে গিয়ে জানলাম তিনদিন ধরে ইনকাম করতে না পারায় ছে্লের বউ খেতে দেয়নি। সে কোনো ভাতা কিংবা সরকারি সহযোগিতাও পায় না। অথচ সামাজিক নিরাপত্তার নামে আমরা প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করি। এমন বৃদ্ধ সাইদ শুধু ঢাকাতেই কতসংখ্যক আছে তার হিসাব হয়তো সরকারের হাতেও নেই। এবারও এ খাতে ৭৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এখানে হয়তো অনেক নেতাকর্মীর আত্মকল্যাণও ঘটবে। অনেকেই এই চাল মেরে গাড়ি হাকিয়ে জাতে উঠার চেষ্টা করবেন।

আসলে তারাও তো এক ধরনের চাপেই আছেন। যা বাজেটীয় চাপ। কেননা আশপাশের বন্ধু, দোসররা আগেই আখের গুছিয়েছে কিন্তু ট্যারা মাস্তান এখনো স্টারলেট চালিয়ে বেড়ায়। তা কী করে হয়। সুইস ব্যাংকে অ্যাকাউন্টটাও খোলা হয়নি। দুবাইয়ে ফ্ল্যাটের কিস্তিতে বকেয়া পড়েছে। সব তো বাজেটেরই ব্যাপার তাই না। ফলে এত চাপের মাঝে কে কীভাবে ভালো থাকবে সেটাই তো আলোচনার মুখ্য বিষয়।

লেখক: সাংবাদিক

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফেসবুক কর্নার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :