শত্রু মানেই কেবল শত্রু নয়!

শত্রু বা কম্পিটিটর খুব আন্ডাররেটেড একটা বিষয়। মানুষ মনে করে এরা খালি ক্ষতি করে। ব্যাপারটা আসলে উল্টা।
আমি আপনি কতদূর যাবো এটা বোঝা যাবে আমাদের শত্রুদের কোয়ালিটি দেখে। আপনি জানেন এরা আপনার অগ্রগতিতে ঈর্ষান্বিত। যেকোনো সময় ক্ষতি করতে পারে। আপনার কাজ হলো ডিফেন্স তৈরি করা, নিজেকে আরেকটু উচুঁতে নেওয়া, যাতে তারা নাগাল না পায়। এভাবেই মানুষ বড়ো বড়ো শত্রু লালন-পালন করে নিজেকে অনেক উচুঁতে নিয়ে যায়।
শত্রু লালন-পালন করা এনিম্যাল হাসবেন্ড্রির মতোই একটা এপ্লায়েড সায়েন্স। গরুর খামারে লাভ করতে চাইলে প্রথম শর্ত ভালোজাতের বাছুর বা বকনা বাছাই করতে হয়। আমাদেরকেও উচুঁ জাতের শত্রু বাছাই করা উচিত। ভালো হয় আমাদের চেয়ে কয়েক ধাপ উপরের ব্যক্তি নির্বাচন করা। নিচু জাতের শত্রু কোনো কাজের না। এরা এখানে সেখানে একটু বদনাম করবে, বা চুলকিয়ে দেবে। তাদের পেছনে সময় দিলে আপনি প্রফিট করতে পারবেন না। এমনি এমনি সময় নষ্ট, এনার্জি নষ্ট।
এমন কেউ নেই এই মুহুর্তে? তাহলে আপনি দিনে দিনে লেইম বা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাচ্ছেন। এটা একটা বাজে ব্যাপার হতে যাচ্ছে। ইউ উইল স্টপ গ্রোয়িং। মানুষ কখনোই স্ট্যাগনেন্ট থাকে না। উপরে যাওয়ার পুশ না থাকলে, চেষ্টা না থাকলে পিছিয়ে যায়। তার তুলনায় অন্যরা এগিয়ে যায়। শত্রু না থাকলে পুল করবে না কেউ, পুল না করলে ভালো পুশ আসবে না। নিউটনের তিন নম্বর সূত্র।
সুতরাং খুঁজতে থাকুন। মোটামুটি ভালো উচুঁ জাতের এ ধরনের মানুষ পেলে সেটাকে কাজে লাগান। কাজে লাগবে। গালিগালাজ, বকাবাদ্য কোনো কাজের না। উল্টো মনে মনে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকুন। আপনার অগ্রগতি তাদের অবদান আনবে। তারা আপনার জন্য সৃষ্টিকর্তা প্রেরিত আশীর্বাদ। নিশ্চয়ই সৃষ্টিকর্তা সবচেয়ে উত্তম পরিকল্পনাকারী।
লেখক: সিনিয়র সহকারী সচিব এবং তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব

মন্তব্য করুন