ইউএস বাংলা আমার লাগেজ নষ্ট করল

আতাউর রহমান
| আপডেট : ০৫ মে ২০২৪, ১০:০১ | প্রকাশিত : ০৫ মে ২০২৪, ০৮:১৮

গতকাল শনিবার দুপুরে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বিএস ২১৮ ফ্লাইটে ব্যাংকক থেকে ঢাকায় ফিরছিলাম। মাত্র ১৭ কেজি ওজনের লাগেজটি দিয়েছিলাম বুকিংয়ে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর এয়ারক্রাফট থেকে নেমে আসার সময়ে ইউএস বাংলার গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কর্মীদের লাগেজ ছুড়ে ফেলা দেখে মনটা ভীষণ খারাপ হলো এই ভেবে আহারে, দূর থেকে বহন করে আনা কার শখের জিনিস নষ্ট করছে এরা!

এরপর লাগেজ বেল্টে গেলাম নিজের লাগেজ সংগ্রহ করতে। অপেক্ষার পর আমার লাগেজ চোখে পড়ল। কিন্তু সেটি হাতে নিয়ে হতাশ, ক্ষুদ্ধ এবং কষ্ট পেলাম ভীষন। আমার নতুন লাগেজখানা এমনভাবে টানাহেঁচড়া করেছে, সেটির একটা অংশ রীতিমতো ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে। কয়েকদিন আগেই কষ্টের টাকায় ইতালি থেকে লাগেজটি কিনেছিলাম এবং এই ইউএস বাংলার ফ্লাইটে প্রথম ব্যবহার করলাম। সেটিকে এরা এভাবে ক্ষত-বিক্ষত করল! ইউএস বাংলার গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কর্মীদের এই অপেশাদারিত্ব কাজে খুব কষ্ট পেলাম।

এরপর বেল্টের সামনেই খুঁজে পেলাম এয়ারলাইন্সটির দুই কর্মীকে। তাদের ঘটনা জানালাম এবং প্রতিকার চাইলাম। তারা বিষয়টি পাত্তা না দিয়ে আরেকজনকে দেখিয়ে দিলেন। শেষ পর্যন্ত অফিসারের মতো ইউএস বাংলার আরেক কর্মীর কাছে ঘটনা জানিয়ে প্রতিকার চাইলাম। তিনি নির্বিকারভাবে জানালেন, এমনটা হতেই পারে! তার এই কথায় আমি অবাক না হয়ে হতাশ হলাম, এরা নাকি ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইট চালায়! তাকে জানালাম, এটা আমার লাগেজ এবং আপনাদের হেফাজতে ছিল, এমনটা হতে পারে না। এটার প্রতিকার চাই।

শেষ পর্যন্ত ওই কর্মকর্তার নাম জানলাম, তিনি শওকত সাহেব। আমি প্রতিকার চাইলাম এবং বললাম বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ দিতে চাই। ওই কর্মকর্তা নূন্যতম সহযোগীতা করলেন না এবং লিখিত অভিযোগও রাখলেন না। এক্ষেত্রে আমার করণীয় কি, তাও জানালেন না। আমার পীড়াপিড়ির পর শুধু লাগেজ ট্যাগের একটা ছবি তুলে রাখলেন। আমারও তাড়া থাকায় বেরিয়ে আসলাম।

এই ছবিটি দেখে হয়তো আকাশপথের নিয়মিত যাত্রীরা ভাববেন, এটা নতুন কি! আরও বড় ঘটনা ঘটে, লাগেজ ছিড়ে যায় বা ছিড়ে ফেলে এরা। কিন্তু এই ক্ষতই আমার কাছে বড় এবং ক্ষতির চেয়ে ক্ষতটা বড় বেশি আমার কাছে। এর প্রতিকার চাচ্ছি এখনও। ফ্লাইটগুলোতে যাতে নূন্যতম পেশাদারিত্ব থাকে, সেইজন্যই আমার এই প্রতিকার চাওয়া।

লেখক: সংবাদকর্মী

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফেসবুক কর্নার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :