ঝিনাইদহে প্রবাসীর স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা

ঝিনাইদহে প্রবাসীর স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা করেছে ডাকাতেরা। এ সময় ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন ছেলের বৌ।

শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে সদর উপজেলার খালকুলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত ফাতেমা বেগম (৪৫) প্রবাসী আবেদ আলীর স্ত্রী। আহত বীথি খাতুন (১৮) আবেদ আলীর ছেলে প্রবাসী মেহেদী হাসানের স্ত্রী।

আটককৃতরা হলেন- সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের বেতাই দুর্গাপুর গ্রামের বাদল মিয়ার ছেলে সাগর হোসেন ও ছোট ঝিনাইদহ গ্রামের ফেলু সরকারের ছেলে সুশান্ত সরকার।

পুলিশ, এলাকাবাসী এবং গান্না ইউপি মহিলা সদস্য জানায়, প্রবাসী আবেদ আলী দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে দুবাই থাকেন। একপর্যায়ে তার ছেলে মেহেদীকে গত দুই বছর আগে মালয়েশিয়ায় পাঠান। এরপর থেকে আবেদ আলীর স্ত্রী ও পুত্রবধূ সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের খালকোলা গ্রামে বসবাস করতেন। ওই বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে তারা দুজনই থাকতেন। কোনো পুরুষ মানুষ ছিল না । গত বেশ কিছুদিন ধরে ওই বাড়িতে মিস্ত্রিরা নির্মাণ কাজ করছেন। কিন্তু তাদের পারিশ্রমিকের টাকা বাকি ছিল। সেই টাকাসহ বড় অঙ্কের টাকা বিদেশ থেকে আসবে জানতে পারে মিস্ত্রির। সেই লোভে শুক্রবার ভোর রাতে বাড়ির বারান্দার দেয়াল ভেঙে তারা ডাকাতির উদ্দেশ্য প্রবেশ করে। এরপর ডাকাতদের উপস্থিতি টের পাওয়ার কারণে ফাতেমাকে গলাকেটে হত্যা করে এবং পুত্রবধূকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। পরে ডাকাতরা চলে যাওয়ার পর পুত্রবধূ বীথি আহত অবস্থায় প্রতিবেশী ওবাইদুল ইসলামের বাড়ির উঠানে গিয়ে পড়ে যান। এ অবস্থা দেখে তাকে দ্রুত সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে প্রতিবেশীরা। এরপর তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করেন। এ অবস্থায় বিথির হাতে লেখা একটি চিরকুট উদ্ধার করে পুলিশ। সেখানে দুজনের নাম উল্লেখ থাকায় তাদেরকে আটক করেছে পুলিশ।

ঝিনাইদহ সদর সার্কেল মীর আবিদুর রহমান জানান, ঘটনা শুনে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। ক্রাইম সিনের দল আলামত সংগ্রহ করেছে। পুত্রবধূ বিথির হাতে লেখা চিরকুটটি উদ্ধার করা হয়েছে। তার সূত্র ধরে আমরা দুজনকে আটক করেছি।

তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিন প্রবাসী ও তার ছেলে বাইরে থাকায় বাড়িতে কোন পুরুষ মানুষ থাকতো না। সে কারণে ডাকাতরা এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর সাহস দেখিয়েছে। আমরা দুজনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। পরে আরো বিস্তারিত জানাতে পারবো।

(ঢাকা টাইমস/২৪মে/এসএ)