কোচ বানাতে চায়নি ভারতীয় বোর্ড, মিথ্যা বলছেন পন্টিং-ল্যাঙ্গাররা!
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আর রাহুল দ্রাবিড় ভারতের হেড কোচ থাকছেন না। নতুন কোচ কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার অন্ত নেই। এরইমধ্যে নতুন কোচ খোঁজার কাজ শুরু করে দিয়েছে বিসিসিআই। এরপর নাম সামনে আসে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক দুই ক্রিকেটার রিকি পন্টিং ও জাস্টিন ল্যাঙ্গারের। তারা এ নিয়ে মুখও খুলেছেন। যদিও বিসিসিআই তাদের কোচ হওয়ার প্রস্তাব দেয়নি বলে জানালেন জয় শাহ।
আইপিএলে রিকি পন্টিং দিল্লি ক্যাপিটালসকে কোচিং করাচ্ছেন। ল্যাঙ্গার আছেন লখনৌ সুপার জায়ান্টসের ডাগআউটে। সে কারণেই মূলত রাহুলের বিদায়ের খবরের পাশাপাশি তাদের কোচ হওয়ার গুঞ্জন সামনে আসে। যদিও দুজনেই ভারতের দায়িত্ব নিতে নারাজ। এবার এ গুঞ্জন নিয়ে কথা বললেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ।
জয় শাহ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘না আমি, না বিসিসিআই, কেউই কোনো অস্ট্রেলিয়ানকে কোচ হওয়ার প্রস্তাব দেয়নি। কোচ খুঁজে বের করা আমাদের সুক্ষ্ম ও ধারাবাহিক একটা প্রক্রিয়া। আমরা এমন কাউকে চাই, যে ভারতের ক্রিকেট সম্পর্কে গভীর ধারনা রাখে এবং ওইসব ধাপ পেরিয়ে এসেছে।’
জয় শাহর কথা থেকে একটা বিষয় আন্দাজ করা যায়- কোনো ভারতীয়কেই কোচ করার কথা ভাবছে বিসিসিআই। সেক্ষেত্রে গৌতম গম্ভীরই বড় নাম। কিছুদিন আগে ক্রিকইনফোর এক প্রতিবেদন থেকে ভারতের তাকে প্রস্তাব দেয়ার খবর জানা যায়। ভারতের মতো পরাশক্তি ক্রিকেট দলের কোচ হওয়ার প্রস্তাব পেলেও আন্তর্জাতিক কিংবা ঘরোয়া ক্রিকেটে কিন্তু কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা নেই গম্ভীরের। তবে মেন্টর হিসেবে সফলভাবেই তিন বছর ধরে কাজ করছেন আইপিএলে। গত দুবার লখনৌতে থাকাকালীন দলকে প্লে-অফে তুলেছিলেন। আর চলতি আসরে কলকাতা আইপিএলের ফাইনালে উঠেছে।
প্রসঙ্গত, ভারতের কোচ হওয়ার গুঞ্জনে পন্টিং বলেছিলেন, ‘সিনিয়র জাতীয় দলের কোচ হতে ভালোই লাগবে আমার। তবে অন্যান্য যেসব ব্যস্ততা আমার আছে, পাশাপাশি কিছুটা সময় বাড়িতেও কাটাতে চাই। সবাই জানে যে, ভারতীয় দলের কোচ হলে আইপিএলে কোচিং করানো যায় না, এটাও তাই হিসেবের বাইরে চলে যাবে। তাছাড়া, জাতীয় দলের প্রধান কোচ মানে বছরে ১০-১১ মাসের ব্যস্ততা। যতই এটার প্রতি আগ্রহ থাকুক, আমার এখনকার লাইফস্টাইল এবং যে ব্যাপারগুলো করতে আমি উপভোগ করছি, সেসবের সঙ্গে এটা খাপ খায় না।’
ল্যাঙ্গার বলেন, ‘আমি রাহুলের সঙ্গে কথা বলছিলাম (ভারতের কোচ হওয়ার ব্যাপারে) সে আমাকে বলেছে, ‘আপনি যদি মনে করেন আইপিএলের দলে রাজনীতি ও চাপ রয়েছে, তাহলে তার সঙ্গে আরও এক হাজার গুণ করুন এবং ভারতের কোচিং করান। এটা আমার জন্য ভালো পরামর্শ ছিল। আমি মনে করি এটা একটা ভালো চাকরি। তবে এই সময়ে এই চাকরিটি আমার জন্য না।’
(ঢাকাটাইমস/২৪মে/এনবিডব্লিউ)