রূপগঞ্জে বৃষ্টিতে জলাবদ্ধ ১৫ গ্রাম

গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণের কারণে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার প্রায় ১৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ক্যানেলের (খাল) বিভিন্ন পয়েন্টে মিল-কারখানার বর্জ্যে ও স্থানীয় অসচেতন মানুষের ময়লা আবর্জনা ফেলে পানি যাতায়াতে বাধা সৃষ্টি করার কারণে বৃষ্টির পানি স্থায়ী রূপ নিচ্ছে।

গ্রামগুলো প্লাবিত হওয়ার কারণে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে পারছে না। বাড়িঘরে পানি উঠে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। স্থানীয় এলাকাবাসীর হাটু থেকে শুরু করে কোমড় পর্যন্ত পানি দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। মানুষের ভোগান্তির যেন শেষ নেই।

উপজেলা পরিষদ সূত্র জানায়, রূপগঞ্জ উপজেলায় ছোট বড় সব মিলিয়ে প্রায় হাজারো মিল-কারখানা রয়েছে। বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আসা লোকজন জমি ক্রয় করে গড়ে তুলেছেন শত শত নতুন ঘরবাড়ি। এসব মিল-কারখানার বর্জ্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের ক্যানেল (খাল) ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়ছে প্রায় ১৫ গ্রামের মানুষ।

কয়েক দিনের টানা বর্ষণে বানিয়াদি, গোলাকান্দাইল ৫নং ক্যানেল, নাগেরবাগ, নতুন বাজার, কাটাখালী, পেরাব, ভুলতা, মিয়াবাড়ি, পাঁচাইখা, আমলাব, শিংলাবো আউখাবসহ প্রায় ১৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনজুর হোসেন ভুইয়া বলেন, খালগুলো দখলমুক্ত করে পানি যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অল্প সময়ের মধ্যে পানি সরে যাবে।

উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ এনায়েত হোসেন বলেন, প্রশাসনকে সজাগ দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন। যাতে করে খালগুলো দখল বা ভরাট না হয়ে যায়।

এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান ভুইয়া বলেন, যারা ময়লা আবর্জনা ফেলে বা বিষাক্ত বর্জ্য ফেলে খাল ভরাট করে পানি যাতায়াতে বাধার সৃষ্টি করছে এবং জবরদখল করে রেখেছে, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।

(ঢাকাটাইমস/১৪জুলাই/এলএ)