গণভবনে শোভন-রাব্বানীকে ‘আর না’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১০:১২| আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১২:০৪
অ- অ+

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর গণভবনে প্রবেশের পাস বাতিল করা হয়েছে। একটি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

সূত্রটি জানিয়েছে, এতোদিন গণভবনে প্রবেশের ক্ষেত্রে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্থায়ী অনুমতি ছিল। ফলে গণভবনে প্রবেশের জন্য তাদের অস্থায়ী পাস নিতে হতো না। যেকোনো সময় চাইলে তারা গণভবনে প্রবেশ করতে পারতেন। কিন্তু এই সুবিধা বাতিল করায় এখন থেকে গণভবনে ঢুকতে হলে ছাত্রলীগ সভাপতি শোভন ও সাধারণ সম্পাদক রাব্বানীকে অন্যান্যদের মতো আলাদা অস্থায়ী পাস নিতে হবে।

গত বছরের ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের সম্মেলন হয়। এর প্রায় দেড় মাস পরে ৩১ জুলাই আওয়ামী লীগ সভাপতির সম্মতিক্রমে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।

১০ মাস পর চলতি বছরের মে মাসে যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পরপরই ছাত্রলীগে দেখা দেয় বিভেদ। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে অছাত্র, বিবাহিত, ব্যবসায়ী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, চাকরিজীবীসহ বির্তকিতদের পদ দেওয়া, ত্যাগী নেতা-কর্মীদের বঞ্চিত করা, কমিটি দিতে অর্থনৈতিক লেনদেন, মাদক সম্পৃক্তরা কমিটিতে স্থান পেয়েছে বলে অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখায় একটি পক্ষ।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি নিজেই বিবাহিত এমন অভিযোগও রয়েছে। সংগঠন পরিচালনার ক্ষেত্রে অযোগ্যতা, অদক্ষতার অভিযোগও রয়েছে দু’জনের বিরুদ্ধে।

তাছাড়া ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিকেও মানতে পারছে না একটি পক্ষ। তারা প্রকাশ্যেই বিরোধিতা করছে। কেন্দ্রের নামে কর্মসূচি পালনের পোস্টার করার পরেও বিতর্ক উঠার পর সেটা হয়নি। আর কর্মসূচির দায় দায়িত্ব অস্বীকারও করা হয়েছে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে।

নেতৃত্ব নিয়ে কোন্দলের পাশাপাশি ছাত্রলীগের নানা কর্মসূচি নিয়ে সংগঠনের মধ্যেই দেখা দিয়েছে বিভেদ। ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দর্শনের অনুসারী হলেও ইদানীং ধর্মীয় আবেগ কাজে লাগাতে নানা কর্মসূচির দিকে ঝোঁকার প্রবণতাকে ঘিরে সংগঠনে বিরোধ স্পষ্ট হয়েছে। আর ক্ষুব্ধরা কেউ ‘সর্বদলীয় ছাত্রলীগ’, কেউ ‘শিবির লীগ’, কেউ বা ‘বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রলীগ’ বলে নিজের সংগঠনকে কটাক্ষ করছেন।

এমন পরিস্থিতির মধ্যে গত শনিবার রাতে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গণভবনে গেলে তাদেরকে দেখা দেননি প্রধানমন্ত্রী। বলেন বের হয়ে যেতে। রাগ করে কমিটি ভেঙে দেওয়ার কথাও বলেন তিনি।

ছাত্রলীগের কমিটিতে যারা স্থান পেয়েছেন, তাদের বহুজনের বিরুদ্ধে মাদক সম্পৃক্ততার অভিযোগ আনছেন সংগঠনে বিক্ষুব্ধরাও। এই অভিযোগ গেছে শেখ হাসিনার কাছেও। তিনি স্পষ্টতই ক্ষুব্ধ। বলেছেন, ‘আমি ছাত্রলীগের এমন নেতা চাই না... যাদের বিরুদ্ধে মাদকের অভিযোগ পর্যন্ত উঠেছে।’

সর্বশেষ গত মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি শোভনের গাড়িতে ওঠাকে কেন্দ্র করে মারামারিতে জড়ান ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা। এসময় দায়িত্বরত এক সাংবাদিককে শোভনের গাড়িতে তুলে নেওয়া হয় এবং সাংবাদিকের মোবাইল ফোন থেকে ভিডিও ডিলিট করা হয়। এমন অবস্থার মধ্যে গণভবনে প্রবেশের ক্ষেত্রে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পাস বাতিল করার খবর পাওয়া যায়।

ঢাকাটাইমস/১১সেপ্টেম্বর/এমআর

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
হাতিরপুলে গণসংহতি আন্দোলনের কার্যালয়ের সামনে দুই ককটেল বিস্ফোরণ
৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ১৬৯০ জন
এনসিপির ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি শুরু
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ ও যোদ্ধাদের স্মরণে ‘বিআরপি’র মশাল মিছিল
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা