লাইনে ফুটো, রাজশাহীতে কমেছে গ্যাস সরবরাহ
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় গ্যাস সঞ্চালন লাইনে ফুটো দিয়ে গত দুই দিন থেকে অনবরত গ্যাস বের হচ্ছে। গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (জিটিসিএল) পক্ষ থেকে সেখানে পাহারা বাসানো হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে গ্যাসের চাপ কমিয়ে দেয়া হয়েছে। ফলে রাজশাহী নগরীতে গ্যাস সরবরাহ কমেছে।
এদিকে অগ্নিসংযোগের আশঙ্কায় আশেপাশের গাছপালা ও জঙ্গল কেটে পরিষ্কার করা হয়েছে। পুঠিয়া উপজেলার মাড়িয়া গ্রামের ভেতর দিয়ে সিরাজগঞ্জ থেকে এই সঞ্চালন লাইন রাজশাহী শহরে নিয়ে আসা হয়েছে। গত বুধবার মাড়িয়া গ্রামের একজন গৃহবধূ প্রথম এই গ্যাস বের হতে দেখে গ্রামের লোকজনকে জানান।
গতকাল দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে জিটিসিএলের একজন কর্মচারী পাহারায় বসে রয়েছেন। পাশের আমগাছের নিচে দুখানা চেয়ার পাতা রয়েছে। সেখানে বসেই রাত-দিন ধরে পাহারা দেয়া হচ্ছে।
গ্রামের ভুলু নামে একজন যুবক বলেন, পাশের বাড়ির একজন মহিলা (সম্পর্কে তার মামী)। প্রথম গ্যাস বের হতে দেখে তাকে ডাক দেন। তিনি এসে দেখেন মাটির ভেতর থেকে গ্যাস বের হচ্ছে। তার গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। জায়গাটায় ধোঁয়া ধোঁয়া মনে হচ্ছে। সেখানে এলাকার আরও লোকজন জড়ো হয়। এলাকার লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িযে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়। তারা আসেন। কোম্পানির লোকজনও আসেন।
জিটিসিএল’র একটি সূত্র জানিয়েছে, রাজশাহীতে সঞ্চালন লাইনের পাইপে গ্যাসের চাপ হচ্ছে ১ হাজার পাউন্ড পার স্কয়ার ইঞ্চি (পিএসআই)। যাতে বেশি গ্যাস বের হতে না পারে সে জন্য গ্যাসের চাপ কমিয়ে ১০০ পিএসআই করা হয়েছে। এতে রাজশাহীতে গ্যাসের সরবরাহ কমে গেছে। তবে সেটা খুব বেশি নয়। আগে থেকেই মজুত থাকা গ্যাসের কারণে এখনও প্রভাব বোঝা যাচ্ছে না। কিন্তু আর দুই-একদিন এভাবে কম পরিমাণে গ্যাস সরবরাহ হলে নগরীতে রান্নাবান্নায় সমস্যা দেখা দেবে।
এই প্রতিবেদক ঘটনাস্থলে থাকতেই টিজিসিএলের রাজশাহীর সহকারী ব্যবস্থাপক একেএম আনিসুজ্জামান উপস্থিত হন। কবে নাগাদ এই ফুটো বন্ধ করা যাবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করতে হবে। তারপরে লাইন মেরামত করা যাবে। কবে নাগাদ সেটি হবে তিনি বলতে পারেননি। তবে তিনি বলেন, চাপ কমিয়ে দেয়ার কারণে আর গ্যাস প্রায় বের হচ্ছে না। এটা থেকে আর বিপদের কোনো আশঙ্কা নেই। তারপরেও তাদের কোম্পানির পক্ষ থেকে রাতদিন জায়গাটি পাহারা দেয়া হচ্ছে।
(ঢাকাটাইমস/১১অক্টোবর/এলএ)