সেন্টার অব এক্সিলেন্স হবে ১৩ শতবর্ষী কলেজ: শিক্ষামন্ত্রী

১৩টি শতবর্ষী কলেজকে ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, দেশের ঐতিহ্যবাহী এ কলেজগুলোর উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুরূপ ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। শিক্ষার মানোন্নয়নের বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে।

র‌্যাংকিংয়ে তিনবার শীর্ষস্থান অধিকারী রাজশাহী কলেজের অডিটরিয়ামে সোমবার সকালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে এর অধিভুক্ত ১৩টি সরকারি শতবর্ষী কলেজের শিক্ষার উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘১৩টি শতবর্ষী কলেজকে ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। দেশের ঐতিহ্যবাহী এই কলেজগুলোর উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুরূপ ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। সেসব সুযোগের সৎ ব্যবহার করে শিক্ষার মানোন্নয়নের বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে।’

সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার মানোন্নয়ন আমাদের প্রধান লক্ষ্য। তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ২২৬০টি কলেজকে রাতারাতি একই মানে নিয়ে আসা সম্ভব নয়। তাই দেশের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত ১৩টি শতবর্ষী সরকারি কলেজকে একটি নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে এসে এসব কলেজের শিক্ষার মানোন্নয়নে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই কলেজগুলোকে কাঙিক্ষত লক্ষ্যে উন্নীত করা গেলে দেশের উচ্চ শিক্ষার উৎকর্ষ সাধনে তা বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।’

অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান, মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, কলেজ পরিদর্শক ও ১৩টি শতবর্ষী কলেজের অধ্যক্ষসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকাটাইমস/২ডিসেম্বর/এমআর