করোনা ঝুঁকিতে স্বাস্থ্যকর্মীরা নিরাপদ থাকবেন যেভাবে

স্বাস্থ্য ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ৩১ মার্চ ২০২০, ১৪:০৪

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্বকে পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য একজন থেকে অন্যজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত যেন না হয়। তাই মানুষকে ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে যেতে হবে চিকিৎসক, নার্স ও অন্য সহযোগী স্বাস্থ্যকর্মীদের। তারা হাসপাতালে বা ক্লিনিকে যাবেন সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকি নিয়ে।

চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন বলছে, সে দেশে মার্চ মাসের শুরুর দিক পর্যন্ত ৩ হাজার ৩০০ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিলেন। ইতালিতে পরিস্থিতি আরও খারাপ। দেশটিতে আক্রান্তদের সেবাদানকারী ২০ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী সংক্রমণের শিকার হয়েছেন, তাদের কেউ কেউ মারাও গেছেন।

ল্যানসেট বলছে, স্বাস্থ্যকর্মীরা শারীরিক ও মানসিকভাবে পরিশ্রান্ত হয়ে পড়েন, কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে চরম বিরক্তিকর পরিস্থিতিতে পড়েন, রোগী ও সহকর্মীদের মৃত্যুতে যন্ত্রণায় বিদ্ধ হন।

স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনাভাইরাসের রোগীর সরাসরি সংস্পর্শে আসেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা মেনে সাবধান থাকলে অনেকটা সুরক্ষিত থাকতে পারেন। আমরা নিজেদের অনেকটাই সুরক্ষিত রাখতে পারব। অযথা আতঙ্ক না ছড়িয়ে সচেতন থাকা প্রয়োজন।

করোনা রোগীর আশপাশে আসতে হলে বা তার সেবা করতে বলে স্বাস্থ্যকর্মীরা পরবেন মেডিক্যাল মাস্ক, গাউন, গ্লাভস এবং চোখ আড়াল করতে বিশেষ চশমা। সাফাইকর্মীরা পরবেন মেডিক্যাল মাস্ক, গাউন, হেভি ডিউটি গ্লাভস এবং চশমা। রোগীকে দেখতে কেউ আসলে তাকে পরতে হবে মেডিক্যাল মাস্ক, গাউন এবং গ্লাভস।

রোগীকে যেখান থেকে এক জায়গা থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে কারোর জন্যই কোনও পিপিই-র প্রয়োজন নেই।

যে স্বাস্থ্যকর্মীরা রোগীকে সরাসরি স্পর্শ করে পরীক্ষা করবেন তাদের মেডিক্যাল মাস্ক, গাউন, গ্লাভস ও চশমা পরতে হবে। শ্বাসকষ্ট নেই এমন রোগীর পরীক্ষার জন্য প্রয়োজন বুঝে পিপিই ব্যবহার করতে হবে। ওপিডি-র সাফাইকর্মীরা অবশ্যই মেডিক্যাল মাস্ক, গাউন, হেভি ডিউটি গ্লাভস, চশমা ও বুট পরবেন।

পরীক্ষাগারের কর্মীদের মেডিক্যাল মাস্ক, গাউন, গ্লাভস ও চশমা পরতে হবে।

হোম কোয়ারানটিনে যারা আছেন, তারা এক মিটারের দূরত্ব বজায় রাখবেন। ঘুমনোর সময় ছাড়া খুব বেশি কষ্ট না হলে মাস্ক পরে থাকুন। যারা তার দেখাশোনা করছেন, তাদের মেডিক্যাল মাস্ক, গ্লাভস ও অ্যাপ্রন পরতে হবে।

উল্লেখ্য, চীনের উহান সেন্ট্রাল হাসপাতালের ডা. লি ওয়েনলিয়াং নভেল করোনাভাইরাস সম্পর্কে আগাম সতর্ক করে প্রশংসিত হয়েছিলেন। তিনি হাসপাতালে কাজ করার সময় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। তিনি ৩০ ডিসেম্বর ভাইরাসটি নিয়ে সহকর্মীদের কাছে একটি সতর্ক বার্তা পাঠিয়েছিলেন। সেখানে তিনি সবাইকে সংক্রমণ এড়াতে প্রতিরক্ষামূলক পোশাক পরার কথা বলেন। যদিও পুলিশ তার বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ এনেছিল। চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. লি করোনাভাইরাস নিয়ে তার প্রাথমিক সতর্কবার্তা পাঠানোর এক মাস পর তিনি হাসপাতালের বিছানা থেকে ওয়েইবোতে তার এ গল্প পোস্ট করেন। পরে তার মৃত্যু হয়।

স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের পাশে থাকা এবং রোগীদের যত্ন নেয়া এখন অনেক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে। তাই সামনে থেকে যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন, তাদের স্বাচ্ছন্দ্য দেয়ার জন্য আমাদের, দেশের সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।

(ঢাকাটাইমস/৩১ মার্চ/আরজেড/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

স্বাস্থ্য এর সর্বশেষ

পরিচিত যেসব খাবার ফুসফুসের সুস্থতার জন্য মহৌষধ

দেশে প্রয়োজনের তুলনায় নার্সের ঘাটতি ৩ লাখ ১২ হাজারের অধিক

‘বাত ব্যথার উপযুক্ত চিকিৎসা না করলে ঝুঁকিতে পড়বে জীবন’

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও ৬ জন

কিডনি নষ্ট হচ্ছে গোপনেই! যেসব লক্ষণ দেখলে মোটেই অবহেলা নয়

দেশে ‘লং কোভিড’ নিয়ে বড় পর্যায়ের গবেষণার তাগিদ

দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জানতে জরিপ চলছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস আজ: প্রতিরোধে প্রয়োজন দুই বাহকের বিয়ে বর্জন

শিবনারায়ণ দাশের চোখে আলো দেখছেন মশিউর-আবুল কালাম

মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :