আমাদের বন্ধুটি আর নেই...

কলেজ লাইফের পর ম্যাক্সিমাম বন্ধু-বান্ধবীর সাথে কোনো যোগাযোগ নেই। হঠাৎ দেখলাম করোনায় আক্রান্ত হয়ে তাসনিম নাওয়ার তমার মৃত্যু সংবাদ ফেসবুক জুড়ে ঘুরছে।
ভালো করে নিউজ পড়ে দেখি এ তো আমাদের ২০০৫-২০০৭ সালের ময়মনসিং ক্যান্টনমেন্টের ব্যাচমেট। আমাদের সাথে একই গ্রুপে পড়তো মেয়েটা। কত স্মৃতি ছিলো কলেজ লাইফে।
চার বছরের ছেলে আয়দানকে রেখে করোনাভাইরাসে ২৮দিন যুদ্ধ করে না ফেরার দেশে চলে গেলেন আয়দানের "মা" তমা।
নাজমুস সাকিব আর তাসমিন নাওয়ার তমা দুজনে ৭ বছর প্রেম করে তারপর ২০১২ সাল শুরুতে বিয়ে করেন। সুন্দরভাবে কাটছিল তাদের দাম্পত্যজীবন। স্বামী নাজমুস সাকিব বসবাস করতেন নিউইয়র্কে।
বিয়ে করার পর স্ত্রীকে নিয়ে আসেন, দুজনে থাকতেন নিউইয়র্ক লং আইল্যান্ডে। চার বছর আগে তাঁদের ঘরে আসে একটি ফুটফুটে পুত্র সন্তান নাম আয়দান।
মাত্র ত্রিশ বছর বয়সে চলে গেলি দোস্ত। জীবনে কতো কিছু দেখার বাকি ছিলো তোর। ওপারে ভালো থাকিস। আল্লাহ তোকে জান্নাত নসিব করুন।
চার বছরের পিচ্চিটা আজ এতীম হয়ে গেলো। বড় হলে মায়ের তেমন কোনো স্মৃতি হয়তো থাকবে না আয়দানের।
লেখক: শিক্ষানবিশ চিকিৎসক
ঢাকাটাইমস/১০মে/এসকেএস

মন্তব্য করুন