পাহাড়ি ঢলে পানি বাড়ছে সুরমাসহ বিভিন্ন নদীর

নিজস্ব প্রতিবেদক, সুনামগঞ্জ
 | প্রকাশিত : ২৪ মে ২০২০, ১৯:৫৯

ভারতের চেরাপুঞ্জিতে গত কয়েকদিনের টানা ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে সুনামগঞ্জের সুরমা নদীসহ বিভিন্ন নদ-নদীর হঠাৎ করেই বাড়তে শুরু করেছে। এ কারণে জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সালুকাবাদ ইউনিয়নের ভাদেরটেক গ্রামে পানি প্রবেশ করায় ভেঙে গেছে সড়ক, বাড়ি ও দোকানপাট।

শনিবার থেকে সুনামগঞ্জের নদীবর্তী বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করতে শুরু করলেও এর পরিমান রবিবার রাত থেকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কথা জানিয়েছে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড। আর বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন নদ-নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুক্রবার ২২০ মিলিমিটার ও শনিবার ৩২৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে জেলার

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সালুকাবাদ ইউনিয়নের ভাদেরটেক গ্রামবাসী ক্ষতির শিকার হয়েছেন।

এলাকাবাসী জানান, শনিবার থেকে তাদের এলাকায় পানি প্রবেশ করতে থাকলেও রবিবার সকাল থেকে পানির চাপ বেড়ে যায়। আর রাবার ড্যাম সঠিক সময়ে খুলে না দেয়ায় পাহাড়ি ঢলে হাওরের ফসল রক্ষার জন্য নির্মিত রাবার ড্যাম উপচে পানি প্রবেশ করে। পানির ঢেউয়ে ছোটবড় পাকা ও কাঁচা বাড়ি ও যাতায়াতের একমাত্র সড়কটির পানির তোড়ে ভেঙে যাওয়ায় বর্তমানে তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এছাড়াও পাহাড়ি ঢলের স্রোতে বেশ কয়েকটি দোকানঘর ভেঙে গেছে।

ভাদেরটেক গ্রামের বাসিন্দা হোসেন মিয়া বলেন, হঠাৎ করে রাতে পাহাড়ি ঢল বৃদ্ধি পেলেও রাবার ড্যামটি খুলে দেয়া হয়নি। খুলে দিলে এতো ক্ষতি হতো না। রাতেই আমাদের গ্রামে পানি প্রবেশ করে ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের মধ্যে হাঁটু পানি হয়ে যায়। আমাদের সড়কটি ভেঙে যায়। এছাড়াও আমাদের গ্রামের বেশ কয়েকটি ঘর ভেঙে গেছে।

গ্রামের বাসিন্দা রাবেয়া খাতুন বলেন, হঠাৎ করে পানি চলে আসায় আমার বাড়ির অর্ধেক অংশ পানিতে তলিয়ে যায়। গ্রামবাসীর সহায়তায় দ্রুত ঘরের জিনিসপত্র সরিয়ে অন্য খানে রেখেছি।

সাদুকাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শাহ পরান বলেন,গ্রামে পানি প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের কথা ভেবে রাবার ড্যাম খুলে দেয়ার পরও অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সমীর বিশ্বাস বলেন, আমি শুনেছি ভাদেরটেক গ্রামের ঘরবাড়ি, সড়কটি পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে ভেঙে গেছে। খোঁজ নিয়েছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেখানে ক্ষতিগ্রস্তদের যতটুকু সাহায্য করা যায় আমরা অবশ্যই করবো।

সুনামগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সবিবুর রহমান বলেন, ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি প্রবেশ করারও সম্ভবনা রয়েছে। পানি প্রবাহ ঠিক রাখতে হাওর রক্ষা বাঁধগুলো কেটে দেয়ার চেষ্টা করবো।

(ঢাকাটাইমস/২৪মে/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :