বগুড়ায় করোনা ও উপসর্গে পাঁচজনের মৃত্যু

বগুড়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২১ জুন ২০২০, ২০:১১

বগুড়ায় করোনায় ও উপসর্গ নিয়ে প্রকৌশলী এবং শিক্ষকসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে চারজন করোনায় এবং উপসর্গ নিয়ে একজন মারা গেছেন। রবিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত এই পাঁচজন মারা যান। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে চারজন পুরুষ এবং একজন নারী। করোনায় মারা যাওয়া চারজনের মধ্যে দুজন মারা গেছেন বগুড়া টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এদের মধ্যে একজন প্রকৌশলী এবং ৭৫ বছর বয়সী বৃদ্ধ রয়েছেন।

হাসপাতালের মুখপাত্র আব্দুর রহিম রুবেল জানান, করোনা মারা যাওয়া প্রকৌশলীর নাম মোহাম্মদ সালাউদ্দিন (৫৪)। তিনি সকাল ৮টায় টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মারা গেছেন। তার গ্রামের বাড়ি পাবনায়। তিনি বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকায় বসবাস করতেন। তিনি ঢাকা সদর দপ্তরের রাজশাহী উন্নয়ন প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী ছিলেন। লকডাউনের পর থেকে তিনি বগুড়ায় পরিবারের সাথে থাকতেন। সালাউদ্দিন করোনা পরীক্ষার জন্য গত ৩১ মে নমুনা দেন। পরদিন ১ জুন তার ফলাফলে করোনা পজিটিভ আসে। পরে ৪ জুন থেকে দিন টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি ছিলেন। এরপর আজ সকালে তিনি মারা যান। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া অপর ব্যক্তির নাম জয় গোবিন্দ (৭৫)। তিনি সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়ার বাসিন্দা। সকাল ১১টার দিকে টিএমএসএস হাসপাতালে মারা যান তিনি।

এদিকে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে শিক্ষকসহ দুজন এবং উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. খায়রুল বাশার মোমিন। তিনি জানান, করোনায় মারা যাওয়া শিক্ষকের নাম সাফিউল আলম (৫৯)। তিনি গাবতলী উপজেলার হামিদপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি উপজেলার লাঠিগঞ্জ স্কুল ও কলেজের শিক্ষক ছিলেন। সকাল সোয়া ৮টায় তিনি মারা যান। এর আগে শনিবার বেলা পৌনে ১২টায় তিনি আইসোলেশনে ভর্তি হন। তিনি হৃদরোগের পাশাপাশি শ্বাস কষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। এছাড়া দুপুর ৩টায় হাসপাতালের আইসিইউতে জাহানারা বেগম (৮০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি জলেশ্বরীতলা এলাকার বাসিন্দা। তার গ্রামের বাড়ি আদমদীঘি উপজেলায়। জাহানারা বেগম শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ১৩ জুন আইসোলেশনে ভর্তি হন। পরে তার নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে করোনা পজিটিভ আসে। তিনি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হলে রবিবার ৩টার দিকে মারা যান। করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম পরশ। তার বয়স ৩৫। তিনি ট্রাকশ্রমিক ছিলেন। তার বাড়ি দুপচাঁচিয়া উপজেলায়। শ্বাসকষ্ট নিয়ে পরশ ভোরে হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হন। সকালে পরীক্ষার জন্য তার নমুনাও সংগ্রহ করা হয়। দুপুর থেকে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে দুপুর ১টার দিকে তিনি আইসোলেশনে মারা যান।

রবিবার পর্যন্ত জেলায় ২০৮৫ জন ব্যক্তির শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে করোনায় মারা গেছেন ৩৩ জন এবং উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ২৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ২১৫ জন। ফলে জেলায় বর্তমান করোনা রোগীর সংখ্যা ১৮৩৭ জন।

(ঢাকাটাইমস/২১জুন/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :