সরিয়ে দেয়া হলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডা. ইকবাল কবিরকে
করোনকালে নানা ইস্যুতে আলোচনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানটির একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও উঠেছে নানা অভিযোগ। ইতিমধ্যে সরিয়ে দেয়া হয়েছে কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে। এবার অধিদপ্তরের আরেক প্রভাবশালী কর্মকর্তা ডা. মো. ইকবাল কবিরকে পরিকল্পনা ও গবেষণার শাখার পরিচালকের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
পরবর্তী পদায়নের জন্য তাকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের পার-১ অধিশাখায় ন্যস্ত করা হয়েছে।
সোমবার স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব (পার-২) শারমিন আক্তার জাহান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। শুধু পরিচালকের পদ থেকেই নয়, বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় চলমান দুটি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) পদ থেকেও ইকবাল কবিরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
একই দিনে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের আরেক প্রজ্ঞাপনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক ইনসিটু সহকারী পরিচালক (গবেষণা) ডা. আফরিনা মাহমুদকে চলতি দায়িত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির পরিকল্পনা ও গবেষণা শাখার পরিচালক হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।
আলাদা দুটি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত বিমিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার/ স্বাস্থ্য সার্ভিসের নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তাগণকে তাদের নামের পাশে বর্ণিত পদ ও কর্মস্থলে বদলি/পদায়ন করা হলো। জনস্বার্থে এ আদেশটি জারি হলো।
চলমান করোনা সংকট মোকাবেলায় স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কিনতে এখন পর্যন্ত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় দুটি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে একটি প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১১৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংক ঋণ দিচ্ছে ৮৫০ কোটি টাকা। বাকি ২৭৭ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে দেওয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কিনতে আরেকটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে এডিবির অর্থায়নে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খরচ ধরা হয়েছে ১ হাজার ৩৬৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে এডিবির ঋণ ৮৫০ কোটি টাকা। বাকি ৫১৫ কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে। এরই মধ্যে দুটি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে প্রকল্পটিতে গগলস, পিপিইর দাম ধরা হয়েছে বর্তমান বাজার মূল্যের চেয়ে দুই থেকে চার গুণ বেশি। স্বাস্থ্য সরঞ্জামের অস্বাভাবিক খরচ নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর তোলপাড় তৈরি হয়। প্রতিবেদনের সূত্র ধরে গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিকল্পনা ও গবেষণা শাখার পরিচালক এবং প্রকল্পের দায়িত্ব থেকে ইকবাল কবিরকে সরিয়ে দেওয়া হয় বলে শোনা যাচ্ছে।
(ঢাকাটাইমস/২৩জুন/বিইউ/মোআ)