সংস্কারের অভাবে ঝুঁকি নিয়েই ব্রিজের উপর চলাচল

এনাম আহমেদ, বগুড়া
 | প্রকাশিত : ০৮ জুলাই ২০২০, ১৩:০৯

দীর্ঘদিন ধরে আদমদীঘি উপজেলার রক্তদহ বিলের উপর নির্মিত বেইলি ব্রিজের পাটাতনের জায়গায় জায়গায় নষ্ট আছে। এতে নড়বড়ে হয়ে পড়েছে ব্রিজটি। সংস্কারের অভাবে ঝুঁকি নিয়ে এর উপর দিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে উপজেলার ১০ গ্রামের মানুষদের।

জানা যায়, সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধানে রক্তদহ বিলের মূল খালের ওপর নির্মিত ৬০.৯৬ মিটার দৈর্ঘের এই ব্রিজটি ২০০৬ সালের ১৬ মার্চ উদ্বোধন করা হয়। এতে বিল পাড়ের ১০ গ্রামের মানুষের প্রায় ১০ কিলোমিটার পথ কমে যায়। সহজেই তাদের কৃষিপণ্য ও শষ্য পরিবহন করা সম্ভব হয়। সহজ হয় স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের যাতায়াত। কিন্তু ব্রিজটি নির্মাণের পর কর্তৃপক্ষের নজরদারি ও সংস্কার কাজ না করায় পাটাতনগুলো নষ্ট হওয়ার ফলে দিন দিন ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। ফলে ব্রিজটি নড়বড়ে হয়ে পড়েছে।

আদমদীঘি সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘হাট-বাজার, স্কুল কলেজ, ব্যবসা-বাণিজ্য ও জংশন স্টেশন থাকায় সান্তাহার পৌরশহর উপজেলার মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা। ব্রিজটি নির্মাণের আগে সান্তাহার পৌঁছাতে আদমদীঘি হয়ে প্রায় ১৪ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হত। রক্তদহ বিলে বেইলি ব্রিজটি নির্মাণের ফলে কমে যায় সাত কিলোমিটার পথ। বর্তমানে ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার পরও জীবন-জীবিকার তাগিদে ঝুঁকি নিয়েই এর ওপর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। দ্রুত ব্রিজটি সংস্কার না করা হলে যে কোনো মুহূর্তে পাটাতন ভেঙ্গে প্রাণহানিসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় এখানে বেইলি ব্রিজের পরিবর্তে ঢালাই ব্রিজ নির্মাণের দাবি আমাদের সকলের।’

সান্তাহার ইউপি চেয়ারম্যান এরশাদুল হক টুলু বলেন, ‘ব্রিজের যে অবস্থা তাতে মোটরসাইকেল নিয়ে পার হতেই ভয় লাগে। জনস্বার্থে ব্রিজটি দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।’

এ বিষয়ে আদমদীঘি উপজেলা প্রকৌশলী সাজেদুর রহমান বলেন, ‘স্টিলের বেইলি ব্রিজটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতায় রয়েছে। তাই এর দেখভাল বা মেরামতের ব্যবস্থা তারাই করবেন।’

বগুড়া সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আরশাফুজ্জামান বলেন, ‘ব্রিজটি পরিদর্শন করা হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ শুরু হবে।’

ঢাকাটাইমস/৮জুলাই/পিএল

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :