অপেক্ষার প্রহর বাড়ল 'আইএস-বধূ' শামীমার

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
  প্রকাশিত : ১৬ জুলাই ২০২০, ১৮:৫৭
অ- অ+

উগ্র জঙ্গিবাদী ইসলামিক স্টেট (আইএস) গোষ্ঠীতে যোগ দিতে সিরিয়ায় যাওয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শামীমা বেগম ব্রিটেনের সরকারের বিরুদ্ধে এক আইনি লড়াইয়ে জয়লাভ করলেও তাকে আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।

ব্রিটেনের আপিল আদালত আজ বৃহস্পতিবার রায় দিয়েছে, ব্রিটিশ সরকার তার নাগরিকত্ব বাতিলের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার বিরুদ্ধে লড়ার জন্য তিনি ব্রিটেনে ফিরতে পারবেন।

বিবিসি বাংলার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে আইনজীবী তাসনিম আখুঞ্জি বলছেন, পুরো বিষয়টা এখন নির্ভর করছে ব্রিটিশ হোম অফিস (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়)-এর ওপর।

হোম অফিস যদি ব্রিটেনের আপিল আদালতের আজকের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে, এবং যেটা করতে হবে আগামী সোমবারের মধ্যে, তাহলে মামলাটা চলে যাবে সুপ্রিম কোর্টের হাতে।

"সুপ্রিম কোর্ট তখন সেই আপিল আবেদন বিবেচনা করবে। সেক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের রায়ই হবে চূড়ান্ত। এবং এটা করতে তিন থেকে চার মাস সময় লেগে যেতে পারে," বলছেন মি. আখুঞ্জি।

বিশ-বছর বয়সী শামীমা বেগম এবং আরও দু'জন স্কুল ছাত্রী ২০১৫ সালে ইসলামিক স্টেট-এ যোগদানের জন্য লন্ডন থেকে সিরিয়ায় পালিয়ে গিয়েছিলেন।

আইএস-এর পতনের পর সিরিয়ার একটি শরণার্থী শিবিরে তাকে খুঁজে পাওয়া গেলে, সাবেক ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী সাজিদ জাভিদ নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে তার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করে দেন।

শামীমা বেগম ব্রিটিশ সরকারের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানান এই বলে যে, ওই সিদ্ধান্ত অবৈধ। কারণ সরকারের এই সিদ্ধান্তের কারণে তিনি রাষ্ট্রহীন হয়ে গেছেন।

আপিল আদালতের শুনানিতে তার আইনজীবী যুক্তি দেন যে তাকে যুক্তরাজ্যে ফিরতে না দিলে, উত্তর সিরিয়ার শিবিরে থাকা অবস্থায় শামীমা বেগমের পক্ষে এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আইনি লড়াই চালানো কার্যত সম্ভব নয়।

আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী কারো নাগরিকত্ব বাতিল তখনই আইনানুগ যখন সেই ব্যক্তি আইনত আরেকটি দেশের নাগরিকত্ব পেতে পারে।

ফেব্রুয়ারি মাসে নিম্ন আদালত রায় দেয় যে শামীমা বেগমের নাগরিকত্ব বাতিলের আদেশ বৈধ। কারণ সে সময় আইনত তিনি ছিলেন ''বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাগরিক''।

ধারণা করা হয়, মায়ের নাগরিকত্বের সুবাদে শামীমা বাংলাদেশি নাগরিকত্ব দাবি করতে পারেন।

কিন্তু বাংলাদেশ সরকার বরাবরই বলে আসছে শামীমা বেগম বাংলাদেশের নাগরিক নন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে এর আগে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, শামীমা বেগম বাংলাদেশি নাগরিক নন এবং তাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে নেয়ার "কোন প্রশ্নই'' ওঠে না।

এখন কোথায় আছেন শামীমা বেগম?

তাসনিম আখুঞ্জি জানাচ্ছেন, ইরাকের সীমান্তের কাছে সিরিয়ার আলরোজ ক্যাম্পে তিন সন্তানের জননী শামীমা বেগম এখন বন্দিজীবন কাটাচ্ছেন।

সেখানে আরও কিছু আইএস বন্দি রয়েছেন জন্মগতভাবে যারা বিদেশি।

মি. আখুঞ্জি বিবিসিকে বলেন, তার শারীরিক অবস্থা ভাল। কিন্তু মানসিকভাবে তিনি কেমন আছেন তা জানার কোন উপায় নেই।

তিনি জানান, বন্দি থাকা অবস্থায় তারে সাথে পরিবারের কোনো যোগাযোগ নেই।

"কয়েক মাস পর পর তাকে স্বল্প সময়ের জন্য টেলিফোনে কথা বলতে দেয়া হয়। তাও শুধু তার আইনজীবীর সাথে পরামর্শের জন্য।"

ঢাকাটাইমস/১৬জুলাই/ইএস

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
কেএমপির কমিশনারকে অপসারণে বিক্ষোভ ছাত্র-জনতার: অবগত করলেন প্রেস সচিবকে
সরাসরি সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভোটে চার বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল নেতা নির্বাচিত
মুগদায় ৪০ কেজি গাঁজা-পিকআপসহ তিন মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
‘দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পর দেশ গণতন্ত্রের পথে হাঁটছে’
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা