মির্জাপুরে অপহরণের দুই সপ্তাহেও উদ্ধার হয়নি স্কুলছাত্রী

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৭ আগস্ট ২০২০, ২১:৪৮ | প্রকাশিত : ১৭ আগস্ট ২০২০, ২০:১৫

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী অপহরণের দুই সপ্তাহ পার হলেও তাকে উদ্ধার বা ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। গত ৩ আগস্ট বাড়ির পাশে বিলের ধার থেকে অস্ত্রের মুখে তাকে অপরহরণ করা হয়। অপহরণের পর গত ৫ আগস্ট মেয়েটির বাবা অপহরণকারী দলের প্রধান নাহিদ হোসেনসহ তিনজনের নামসহ অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনকে আসামি করে মামলা দেন। কিন্ত অপহরণের দুই সপ্তাহ পার হলেও ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার বা ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

মামলার এজাহার ও অপহৃতের পরিবারের সদস্যরা জানান, উপজেলার তেলিনা গ্রামের মেয়ে (১৩) পাশের কালিয়াকৈর উপজেলার রশিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। বাড়ি থেকে প্রতিদিন হেঁটে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে রশিদপুর গ্রামের ভুলু মিয়ার ছেলে নাহিদ হোসেন তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে নানাভাবে উক্ত্যক্ত করত। মেয়েটি এসব কথা পরিবারের সদস্যদের জানালে বিষয়টা তারা অপহরণকারী নাহিদের বাবাকে জানান। এতে নাহিদ আরো ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়েটিকে অপহরণের হুমকি দেয়। এ ঘটনার জের ধরে গত ৩ আগস্ট সকাল সাড়ে আটটার দিকে ওই স্কুলছাত্রী বাড়ির পাশে বিলের কাছে গেলে সেখান থেকে অপহরণকারী নাহিদ হোসেন ও তার সহযোগীরা অস্ত্রের মুখে তাকে জিম্মি করে ইঞ্জিনচালিত সেলু নৌকায় তুলে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে মেয়েটির বাবা ও স্বজনরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে না পেয়ে নাহিদের বাড়িতে যান। পরে সেখানে গিয়ে নাহিদের বাবা মাকে ঘটনা খুলে বললে তারা অপহৃত মেয়েকে ফেরত দেওয়ার কথা বলে মোবাইল ফোনে নাহিদের সাথে যোগাযোগ করতে থাকেন। কিন্ত দুই দিন পার হলেও মেয়েকে ফেরত না দিয়ে তারা কালক্ষেপন করতে থাকে। পরে স্কুলছাত্রীর বাবা হুমায়ুন কবীর গত ৫ আগস্ট দুপুরে মির্জাপুর থানায় নাহিদসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে অপহরণের মামলা দেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, একই গ্রামের রায়হান ও শিপলু। মামলায় অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এদিকে অপহৃতের বাবা হুমায়ুন কবীর জানান, দুই সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও পুলিশ তার মেয়েকে উদ্ধার বা ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দিপু সরকার জানান, অপহরণের মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। একাধিক স্থানে অভিযানের পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করে গ্রেপ্তার ও স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

(ঢাকাটাইমস/১৭আগস্ট/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :