যুক্তরাজ্যে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা নিয়ে বিতর্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
 | প্রকাশিত : ৩০ আগস্ট ২০২০, ১৮:০৩
ফাইল ছবি

ব্রিটেন সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী মাসে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা নিয়ে দেশটিতে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। সরকার দ্রুত পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার পক্ষে থাকলেও শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন ইউনিয়ন ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিদ্ধান্তটি ভয়ানক হতে পারে। খবর রয়টার্সের।

পুনরায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নেয়ায় সমালোচিত হচ্ছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

ইউনির্ভাসিটি অ্যান্ড কলেজ ইউনিয়ন (ইউসিইউ) বলছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উচিত পরবর্তী মাসে খোলার সিদ্ধান্তটি বাতিল করা। যাতে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শিক্ষার্থী এসে দেশের করোনা পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলতে না পারে। তাই অনলাইনে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের আহ্বান জানিয়েছে ইউনিয়নটি।

‘তড়িগড়ি করে শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো ঠিক হবে না। কারণ কোভিডের পরিস্থিতি খারাপ হলে শিক্ষার্থীদের দোষী করা হতে পারে’ যোগ করেন ইউনিয়নটি।

সংগঠনটির জেনারেল সেক্রেটারি জো গ্রেডি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই সময়ে সরকারের উচিত কিছু দায়িত্বশীল পদক্ষেপ নেয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সরাসরি পাঠদানে নিষেধ করা।’

গ্রেডি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে করোনা নির্ণয়ের কোনো সুব্যবস্থা নেই। এমনকি কোন কোন শিক্ষার্থী লকডাউন জোন থেকে ফিরছেন তাদের করোনা নির্ণয় নিয়েও কোনো সঠিক দিকনির্দেশনা নেই। তাই এই অবস্থায় যদি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলা হয় তাহলে তরুণ সমাজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও্ শহরগুলোকে বিপদের মুখে ফেলা হবে।’

তবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিফ সেক্রেটারি স্টিফেন বারক্লে তাদের এই মতামতের সাথে দ্বিমত পোষণ করেছেন। তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি যেভাবে ধীরে ধীরে আগের অবস্থায় ফিরছে, ঠিক শিক্ষার্থীদেরও উচিত তেমনিভাবে ক্লাসে ফেরা।’

কয়েক সপ্তাহ প্রস্তুতির পর আগামী মাসে পুনরায় ক্যাম্পোসে ফিরতে প্রস্তুত আছে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার্থীরাও ইতিমধ্যে নতুন সেমিস্টারের ভর্তি ও হোস্টেল ফি তাদের নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদান করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের লেবার স্যাডো মন্ত্রী ইম্মা হার্ডি বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কতৃপক্ষগুলো নিজেদের ক্যাম্পাসে এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায়, সরকারের নেতৃত্বের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।

‘আপনাদের বহির্বিশ্বের দিকে তাকানো উচিত। আমেরিকার মতো দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে। আমরা কেন পিছিয়ে থাকব তাই এই বিষয়টিকে আমাদের সরকার বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে’, বলেন হার্ডি।

দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ও কর্মচারীদের নিরাপত্তা প্রদানই আমাদের প্রথম ও প্রধান অগ্রাধিকার। আগামী শিক্ষাবর্ষে যেকোনো চ্যালেজ্ঞ মোকাবেলায় সরকার ইতিমধ্যে একটি ট্রাস্কফোর্স গঠন করেছে।’

(ঢাকাটাইমস/৩০আগস্ট/এনএইচএস/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :