মেডিকেল সামগ্রী ক্রয় প্রক্রিয়ায় জালিয়াতি, গ্রেপ্তার ২
প্রতিরক্ষা মহাপরিদপ্তরের ওষুধ ও মেডিকেল সামগ্রী ক্রয় প্রক্রিয়ায় প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে প্রতারক চক্রের মূল হোতাসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নাজমুল হক ও ফারুক হোসেন। শুক্রবার রাজধানীর মানিকদি ও দিয়াবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক (অপস অ্যান্ড মিডিয়া অফিসার) ও সহকারী পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান।
র্যাব কর্মকর্তা জানান, প্রতিরক্ষা ক্রয় মহাপরিদপ্তর (ডিজিডিপি) ক্রয় প্রক্রিয়ার প্রাথমিক পর্যায়ের অনুসন্ধানে জানতে পারে যে, একটি প্রতারক চক্র জালিয়াতি ও মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে জীবন রক্ষাকারী নকল ওষুধ এবং মেডিকেল যন্ত্রপাতি বিক্রি করে সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এ ঘটনার অনুসন্ধানে র্যাব-১ গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে। শুক্রবার রাজধানীর মানিকদি ও দিয়াবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে নকল সরবরাহকারী ও প্রতারক চক্রের মূল হোতাসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার নাজমুল হক নিয়মিতভাবে সরকারি প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন উন্মুক্ত দরপত্রে অংশগ্রহণ করেন। প্রতিরক্ষা ক্রয় মহাপরিদফতরের দেশি ও বৈদেশিক ভেটেরিনারি মেডিসিন ১৮৪ প্রকার এবং মেডিসিন অ্যান্ড অ্যাপ্লায়েন্স ১ হাজার ১০৪ প্রকারের জন্য ২০২২ সালের ২৫ আগস্ট দরপত্রে অংশগ্রহণ করেন। গত বছরের ২৫ এপ্রিল নাজমুল হক ওষুধ সামগ্রী সরবরাহের জন্য চুক্তিমূল্য চার কোটি ১৯ লাখ ৯৫ হাজার টাকার বিপরীতে নিরাপত্তা জামানত বাবদ ৪১ লাখ ৯৯ হাজার ৫০০ টাকা ঢাকার উত্তরা ব্যাংক লি., লোকাল অফিসে নামে ভুয়া পে-অর্ডার জমা করেন। পাশাপাশি গত ৭ মে ডেলিভারি চালানের মাধ্যমে দুটি আইটেম দেওয়ার সময় প্রতারণা আশ্রয় গ্রহণ করেন। নাজমুলের সরবরাহকৃত ওষুধের মান নিয়ে সন্দেহ হলে তা যাচাই করা হয়। পরে দেখা যায় তিনি নকল ওষুধ দিয়েছেন, যা প্রাণীর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা।
(ঢাকাটাইমস/১৮মে/এলএম/এমআর)
মন্তব্য করুন