অবৈধ সম্পদ: কাউন্সিলর সেন্টুকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

ক্যাসিনো কারবারে অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এর আগে গতকাল বুধবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য ঢাকাটাইমসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ক্যাসিনোকাণ্ডে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
জানা গেছে, দুদকের কাছে অভিযোগ রয়েছে, সেন্টু ঢাকা ক্লাব পাড়ায় প্রথম জুয়ার বোর্ড চালু করেন। ক্যাসিনোর কারবার করে তিনি বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন। বিভিন্ন ক্লাবে কমিটির থেকে ভাড়া নিয়ে জুয়ার বোর্ড চালাতেন কাউন্সিলর সেন্টু। ২০১৬ সালে প্রথম ক্যাসিনোর অত্যাধুনিক যন্ত্র নিয়ে এসে ধানমন্ডির কলাবাগান ক্রীড়া চক্রে ক্যাসিনো চালু করেন তিনি।
এর আগে গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর দুদক ক্যাসিনো-কাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে নামে। প্রায় ২০০ জনের তালিকা নিয়ে অনুসন্ধান করছে সংস্থাটি।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হলে গা- ঢাকা দেন শফিকুল ইসলাম সেন্টু। ক্যাসিনো অভিযান শিথিল হলে তিনি দেশে ফেরেন।
তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, জমি দখল, সরকারি জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণ, মাদক বিক্রিতে সহায়তা, সন্ত্রাসী লালনসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
ঢাকাটাইমস/১৭সেপ্টেম্বর/কারই/ইএস

মন্তব্য করুন