‘ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীরাই আ.লীগকে টিকিয়ে রেখেছেন’
ক্রান্তিকালে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার মতো নেতাকর্মী খুব বেশি থাকে না এমন দাবি করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ‘ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীরাই আওয়ামী লীগকে টিকিয়ে রেখেছেন।’
শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘জনতার প্রত্যাশা’র উদ্যোগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে আয়োজিত স্মরণসভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জনতার প্রত্যাশার সভাপতি এম এ করিমের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
সাহারা খাতুন এবং মোহাম্মদ নাসিমের মতো নেতারাই আওয়ামী লীগের মূল শক্তি- এমন মন্তব্য করে শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘ক্রান্তিকালে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার মতো নেতাকর্মী খুব বেশি থাকে না। ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীরাই আওয়ামী লীগকে টিকিয়ে রেখেছে। কারণ তারা বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রে এমনভাবে মুগ্ধ যে সে ঐন্দ্রজালিক সম্মোহিত শক্তি থেকে তাদের কেউ বের করে আনতে পারে না। সে জায়গায় ছিলেন অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন এবং মোহাম্মদ নাসিম। তারা রাজনীতির জন্য, দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছেন।’
প্রয়াত এই দুই নেতার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিজীবনের সুখ, ভালোবাসা, উচ্ছ্বাস, বিত্ত-বৈভব তাদের আকৃষ্ট করতে পারেনি। আওয়ামী লীগের অনেকের স্খলন ঘটলেও এই দুই নেতার কোনোদিন স্খলন ঘটেনি।’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শেখ হাসিনাকে আলোকবর্তিকা ধরে নিয়ে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে। কন্টকাকীর্ণ পথে শেখ হাসিনাই আমাদের পাথেয়। শেখ হাসিনা ফিরে না এলে ইতিহাসের স্বপ্ন ভঙ্গ হতো। ইতিহাসের ক্রমবিবর্তনের আকাঙ্ক্ষার প্রতিভু ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি জাতির জনকে পরিণত হয়েছিলেন, বঙ্গবন্ধুতে পরিণত হয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতিতে পরিণত হয়েছিলেন।’
শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শে যারা বিশ্বাস করেন তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, দৃঢ়তার সঙ্গে থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে ক্ষমতার পরিবর্তন নয়, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে হত্যার জন্যই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। এই ক্রান্তিকাল আমাদের এখনো যায়নি। এরকম ক্রান্তিকাল আমাদের প্রতিনিয়ত অতিক্রম করতে হয়।’
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি।
(ঢাকাটাইমস/১৮সেপ্টেম্বর/বিইউ/জেবি)