করোনা পজিটিভেও ‘ভিটামিন এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৭:৩২| আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৭:৩৪
অ- অ+

আগামী ৪ অক্টোবর থেকে সারাদেশে শুরু হচ্ছে ‘ভিটামিন এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন। এবার দেশের এক লাখ দুই হাজার স্থায়ী কেন্দ্রে আগামী ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত ছয় থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের এই ক্যাপসুল খাওয়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে করোনাভাইরাস পজিটিভ হলেও শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে বলে জানিয়েছে জাতীয় পুষ্টিসেবা ও জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান।

বুধবার রাজধানীরতে এক অনুষ্ঠানে জাতীয় পুষ্টিসেবা ও জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের লাইন ডিরেক্টর ডা. এস এম মোস্তাফিজুর রহমান এ কথা জানান।

মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শুধু শ্বাসনালীর অসুস্থতা বা শ্বাসকষ্ট অথবা অন্য কোনো মারাত্মক অসুস্থতা না থাকলে সে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপস্যুল খাওয়ানো হবে।

এক্ষেত্রে ছয় মাস থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

এই চিকিৎসক বলেন, ‘এ বছর প্রায় দুই কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। দুই লাখ ৯৩ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ক্যাম্পেইন পরিচালনা করবেন। এবার কোনো ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র থাকছে না। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় একেক দিন একেক কেন্দ্রে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। তিন দিন আগে স্থানীয় প্রশাসন এই সূচি ঘোষণা করবে।’

শিশুর বয়স ছয় মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণমতো ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে গত জুনে এই ক্যাম্পেইন স্থগিত করা হয়েছিল। আমরা আশঙ্কা করছি সব শিশুকে এই ক্যাম্পেইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে কি না। যেহেতু আট দিনের ক্যাম্পেইন, আমরা আশা করছি ৯০ শতাংশ শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো সম্ভব হবে।’

ডা. এস এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী যারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করবেন তাদের সার্জিক্যাল মাস্ক সরবরাহ করা হবে। ছয় থেকে ১২ মাস বয়সী আনুমানিক ২০ লাখ ৪০ হাজার শিশুকে নীল রঙের ক্যাপসুল, এক থেকে পাঁচ বছর বয়সী প্রায় এক কোটি ৯৩ লাখ শিশুকে লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ছয় মাসের কম এবং পাঁচ বছরের বেশি বয়সী কোনো শিশু অসুস্থ থাকলে তাকে ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে না। ক্যাম্পেইন চলাকালে কোনো শিশু বাদ পড়লে আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়াবে।’

(ঢাকাটাইমস/২৩সেপ্টেম্বর/কারই/জেবি)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
বাংলাদেশিদের গোল্ডেন ভিসা দেবে দুবাই, দূর থেকে আবেদন করার সুযোগ
ফেনী পরিস্থিতির অবনতি, গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত, অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ বন্ধ
গাজায় মানবিক সংকটে ক্ষুব্ধ যুক্তরাজ্য, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেবে
ডলারের দাম কমেছে, হ্রাস পেয়েছে আমদানি ব্যয়ের চাপ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা