ভাঙন রোধে নেই উদ্যোগ, ক্ষুব্ধ তিস্তা পাড়ের ক্ষতিগ্রস্তরা

মুমিনুল ইসলাম বাবু, কুড়িগ্রাম
| আপডেট : ০৫ জুন ২০২১, ১৩:০০ | প্রকাশিত : ০৫ জুন ২০২১, ১২:২৬

ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানে পানি বাড়ার ফলে গত ৪/৫ দিনে তিস্তা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে কুড়িগ্রামের শত শত বিঘা আবাদি জমি, গাছপালাসহ অর্ধ শতাধিক বাড়িঘর। ভেঙে গেছে মূল সড়কের ৪০ মিটার। প্রশাসন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে ভাঙন মোকাবিলায় নানান প্রতিশ্রতি দেয়া হলেও এ পরযন্ত কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয় নি। এতে সংশ্লিষ্টদের উপর ক্ষুব্ধ তিস্তা পাড়ের ভাঙন কবলিতরা।

ভাঙনকবলিতরা জানান, সপ্তাহ ধরে কুড়িগ্রাম জেলায় এবং উজানে ভারতীয় অঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ধরলাসহ বেশ কয়েকটি নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। ফলে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। বিশেষ করে তিস্তা নদীর পানি হু-হু করে বাড়ছে। এতে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বজরা এবং তৎসংলগ্ন গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের কাসিমবাজার এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিলীন হয়েছে অর্ধ শতাধিক বসতবাড়ি। বিলীন হয়েছে পুকুর, ফসলী জমিসহ বেশ কিছু বাগান।

তারা আরও জানান, ভাঙনে হুমকির মুখে রয়েছে ঐতিহাসিক কাসিমবাজার হাটসহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং বৃটিশ আমলে নির্মিত কাসিমবাজার আলিয়া মাদ্রাসা। এদিকে তীব্র ভাঙনে বসতবাড়ি বিলীন হলেও জনপ্রতিনিধি ও পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে কার্যকর কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় সংশ্লিষ্টদের প্রতি হতাশ ও ক্ষুব্ধ এলাকার ভাঙন কবলিতরা।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কাসিমবাজার এলাকায় অধিক ভাঙন দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করে অস্থায়ীভাবে জিও ব্যাগ ও জিও টিউব দিয়ে ভাঙন রোধের ব্যবস্থা নিচ্ছি। আশা করছি, এ সপ্তাহের মধ্যে আমরা কাজটা শুরু করব। পাশাপাশি আমরা স্থায়ী কাজ করার জন্য প্রকল্প শো করেছি। প্রস্তাবনা পেশ করেছি। যা বর্তমানে পরিকল্পনা কমিশনে প্রক্রিয়াধীন। প্রকল্পটি অনুমোদন হলেই এলাকার লোকজনের ভোগান্তি কমবে।

(ঢাকাটাইমস/৫জুন/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :