‘করোনার ডেল্টা ধরন ছড়িয়ে পড়লে সামলানো যাবে না’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১০ জুন ২০২১, ২১:২০
অ- অ+

করোনার ভারতীয় ধরন ‘ডেল্টা’ ছড়িয়ে পড়া রোধে যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে বড় ধরনের ঝুঁকি দেখছেন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

অতিমাত্রায় সংক্রামক করোনার এই ধরনটি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে স্বাস্থ্যসেবা জোরদার এবং এসব এলাকার দরিদ্র দুঃস্থদের জন্য ত্রাণ কার্যক্রম চালুরও তাগিদ দিয়েছেন এই অর্থনীতিবিদ।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বৃহস্পতিবার দীর্ঘ এক পোস্টে ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এসব কথা লিখেছেন।

ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ভারতে শনাক্ত ডেল্টা ভ্যারাইটির করোনাভাইরাস আমাদের জন্য বড় ঝুঁকি। করোনা সংক্রমণ থেকে জীবন ও জীবিকা রক্ষার এত কথা বলা হচ্ছে, অথচ সীমান্তবর্তী পশ্চিমাঞ্চলের নতুন করে উপদ্রুত জেলাগুলো থেকে ঢাকায় প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রীবাহী বাস যাতায়াত করছে। একেই বলে বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরো।

সীমান্ত এলাকার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ওয়াহিদউদ্দিন লিখেছেন, সম্প্রতি বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে অতি দ্রুত করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এই সংক্রমণ ভারত থেকে এসেছে এবং এর মধ্যে ভারতে শনাক্ত ডেল্টা ভ্যারাইটির ভাইরাস থাকতে পারে, যা অনেক দ্রুত ছড়ায়।

বাংলাদেশে সম্ভবত প্রথমবারের মতো সেসব উপদ্রুত অঞ্চলে সরকারি উদ্যোগে সংক্রমণের কমিউনিউটি সারভ্যেইলেন্সের অংশ হিসাবে সীমিত আকারে হলেও এন্টিজেন টেস্ট করা হচ্ছে, যার মাধ্যমে শতকরা ত্রিশ থেকে পঞ্চাশ শতাংশ মানুষের শরীরে সংক্রমণ পাওয়া গেছে। সরকার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে সেসব অঞ্চলে অনেকগুলো ব্যবস্থা নিয়েছেন, যদিও সংক্রমণের হার এখনো বাড়ছে।

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ লিখেছেন, গতবছর করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে এ পর্যন্ত সংক্রমণ ও মৃত্যুর সিংহভাগ হয়েছে ঢাকা এবং এরপর চট্টগ্রামে। ইতোমধ্যে ঢাকাসহ দেশের আন্যান্য স্থানে সংক্রমণের হার প্রায় নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল। এখন ভারতে শনাক্ত নতুন ভ্যারাইটি বাংলাদেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে তা বিশ্বের সপ্তম জনবহুল দুই কোটি মানুষের ঢাকা মহানগরীকে অনেক বড় ঝুঁকির মুখে ফেলবে, যা সামলানোর সাধ্য আমাদের নাই।

তিনি আরও লিখেছেন, সীমান্তবর্তী পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে এই সংক্রমণ যাতে ঢাকা না আসতে পারে সেটাই তো এখন সবচেয়ে বড় বিবেচনা হওয়া উচিত। এরজন্য বিশেষজ্ঞ হবার তো দরকার নাই। নতুন করে উপদ্রুত সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অবশ্যই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগুলো এবং ত্রাণ কার্যক্রম চালু রাখতে হবে। সেখানে স্বাস্থ্যসেবাও জোরদার করা দরকার।

তবে শুধু পণ্য পরিবহন ছাড়া ঢাকার সঙ্গে অনান্য যোগাযোগ সামায়িক বিচ্ছিন্ন রাখলে বড় কোন ক্ষতি হবার কারণ নেই। সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজের অংশ হিসাবে এসব পরিবহনের শ্রমিকদের সাময়িক বেতনভাতার যোগান দেয়াও তেমন কোনও ব্যাপার হবার কথা নয়।

(ঢাকাটাইমস/১০জুন/বিইউ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
হাতিরপুলে গণসংহতি আন্দোলনের কার্যালয়ের সামনে দুই ককটেল বিস্ফোরণ
৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ১৬৯০ জন
এনসিপির ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি শুরু
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ ও যোদ্ধাদের স্মরণে ‘বিআরপি’র মশাল মিছিল
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা