বিটকয়েনে পর্নো ভিডিও কিনে বেশি দামে বেচতেন তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২০ জুন ২০২১, ১৭:০২| আপডেট : ২০ জুন ২০২১, ১৯:৩১
অ- অ+

অনলাইন থেকে ক্রিপ্টো কারেন্সি-বিটকয়েনের মাধ্যমে কমমূল্যে পর্নোভিডিও কিনে বেশি দামে বিক্রি করত একটি চক্র। তারা প্রতি মাসে দেড় কোটি টাকা অবৈধ বিট কয়েনের মাধ্যমে লেনদেন করত।

আজ রবিবার ভোরে রাজধানীর দারুস সালাম এলাকা থেকে চক্রটির চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

তারা হলেন- প্রিন্স হামিম খাঁন, রাহুল সরকার, সঞ্জিব দে তিতাস ও সোহেল খান।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এলিট ফোর্সটি মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানান।

র‌্যাব বলছে, দেশে সম্প্রতি উদ্ধার হওয়া এলএসডি মাদক কেনার টাকা পরিশোধ করা হতো এসব ক্রিপ্টো কারেন্সির মাধ্যমে। এরপর বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেন গোয়েন্দারা।

কমান্ডার আল মঈন বলেন, চক্রটি অবৈধ ভার্চুয়াল মুদ্রা, ক্রিপ্টো কারেন্সি, বিট কয়েন লেনদেনের সঙ্গে জড়িত। ডার্ক সাইট থেকে ভার্চুয়াল মুদ্রা, ক্রিপ্টো কারেন্সি, বিট কয়েন ব্যবহার করে পর্নোগ্রাফি কেনাবেচার মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছিলো। র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি ও ছায়া তদন্তের এসব তথ্য পাওয়া যায়। পরে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুইটি ল্যাপটপ ও দুইটি ডেবিট কার্ড জব্দ করা হয়েছে।

কমান্ডার মঈন বলেন, ইন্টারনেটের বিভিন্ন সাইট থেকে অ্যাকাউন্ট করে ভার্চুয়াল মুদ্রা, ক্রিপ্টো কারেন্সি, বিট কয়েন ক্রয়-বিক্রয় করত তারা। মোবাইল ব্যাংকিং বা ইলেক্ট্রনিক মানি ট্রান্সফারের মাধ্যমে বাংলাদেশি বেশকিছু অসাধু ডোমেইন হোল্ডার ও ব্যবসায়ী চক্রের সঙ্গে অর্থ লেনদেন করত।

ভার্চুয়াল জগতে অবৈধ ডার্ক পর্নোসাইট থেকে পর্নোগ্রাফি কিনে সেগুলো বেশি টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দিতো।

তিনি আরও জানান, তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে ভার্চুয়াল মুদ্রা, ক্রিপ্টো কারেন্সি, বিট কয়েন অত্যন্ত লাভজনক বলে প্রচারণা চালান। এই প্রচারণার মাধ্যমে তরুণ-যুবকদের অবৈধ লেনদেনে প্রলুব্ধ করতেন। আগ্রহীদের তারা অর্থের বিনিময়ে ক্রিপ্টো কারেন্সি প্রশিক্ষণ দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিতেন।

র‌্যাব আরও জানায়, এছাড়া বেশকিছু আগ্রহীদেরকে প্রলুব্ধ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি গ্রুপে খোলা হয়। যেখানে বিট কয়েন ব্যবসায় আগ্রহীরা যুক্ত হত। গ্রুপে কয়েক হাজার সদস্য রয়েছে। যারা প্রতি মাসে প্রায় দেড় কোটি টাকা লেনদেন করেছেন।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, চক্রের প্রধান হামিম ২০১৩ সালে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে কম্পিউটারের ওপর দক্ষতা লাভ করে। এরপর সে নিজেই একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলে ৫০ জনকে বিট কয়েন জালিয়াতির প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে মঈন বলেন, দেশে বিট কয়েনের মাধ্যমে লেনদেন সরকারিভাবে নিষিদ্ধ। তাই এটা অপরাধ হিসেবে ধরা হয়।

(ঢাকাটাইমস/২০জুন/এসএস/ইএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
দাঁড়িয়ে থাকা নসিমনকে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, নিহত ১ 
পঞ্চগড় সীমান্তে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় যুবকের মৃত্যু 
ঈদুল আজহায় ৯৯৯-এ ১৫ হাজারের বেশি কল, মারামারিতে ৪১০২ অভিযোগ
ম্যাচ উইনার হিসেবে দলে অবদান রাখতে প্রস্তুত নাহিদ রানা
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা